টুকরো খবর |
বধূ নির্যাতন, গ্রেফতার শ্বশুরবাড়ির তিন জন
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পণের দাবিতে নির্যাতনের পর এক বধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় অভিযোগ উঠল বেলদায়। স্বামী, দেওর-সহ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পায়েল গোস্বামী। তার ভিত্তিতে স্বামী কল্যাণসুন্দর গোস্বামী, দেওর মুন্না ও মামাশ্বশুর চন্দন পণ্ডাকে দেউলি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৯ সালে নারায়ণগড়ের বাসিন্দা পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় বেলদার ব্যবসায়ী কল্যাণসুন্দরের। বিয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন পায়েলের মামাশ্বশুর চন্দন পন্ডা। পায়েলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সকলে অত্যাচার করত। দিন দিন পণের টাকার দাবিও বাড়তে থাকে। গত মার্চে ১ লক্ষ টাকার দাবি করেন স্বামী, শ্বাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই টাকা নিয়ে আসতে বলে পায়েলকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ছ’মাস ধরে বাপের বাড়িতে থেকে নানাভাবে মীমাংসার চেষ্টা চললেও টাকার দাবিতে অনড় ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সোমবার পায়েল বেলদা থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। শাশুড়ি রমা গোস্বামীকে পুলিশ বাড়িতে পায়নি।
|
জাল মোবিল উদ্ধার, ধৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
তল্লাশি চালিয়ে ৭০লিটার জাল মোবিল (ল্যুব্রিক্যান্ট) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খড়্গপুরের জনতা মার্কেটে ৪টি অটোমোবাইল সরঞ্জামের দোকানে হানা দিয়ে ওই মোবিল উদ্ধার করে জেলা দুর্নীতি দমন শাখা ও খড়্গপুর পুলিশের যৌথ দল। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ডিএসপি (ডিইবি) অঞ্জন রায়, খড়্গপুরের এসডিপিও সন্তোষকুমার মণ্ডল ও আইসি অরুণাভ দাস প্রমুখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই একটি নামী ল্যুব্রিক্যান্ট প্রস্তুতকারক সংস্থার স্টিকার সেঁটে নকল লুব্রিক্যান্ট বিক্রি করতেন ওই চার দোকানি। গোপনে খবর পেয়ে এ দিন ওই দোকানগুলিতে হানা দেয় পুলিশ। একের পর এক এই জাল ল্যুব্রিক্যান্টের ছোট বড় কৌটো বেরোতে থাকলে পালিয়ে যান দোকান মালিকেরা। ধরা পড়েন একটি দোকানের মালিক জিতেন্দ্র অরোরা ও কর্মী রবি নায়েক। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, কোত্থেকে এই জাল মোবিল এসেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে।
|
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে জেলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। বর্ষার আনুষ্ঠানিক বিদায় হয়েছে। তবে মঙ্গলবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঘাটাল মহকুমায়, প্রায় ২৫ মিলিমিটার। জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান প্রায় ৫ মিলিমিটার। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বৃষ্টিতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুরুতে সবমিলিয়ে ১০৪টি ত্রাণ শিবির খুলতে হয়েছিল। সোমবার পর্যন্ত জেলায় ২টি ত্রাণ শিবির চালু ছিল। মঙ্গলবার ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা কমে ১টি হয়েছে। গোপীবল্লভপুর- ২ ব্লকের চর্চিতাতেই শুধুমাত্র এদিন ত্রাণ শিবির চালু ছিল। এই শিবিরে ১১০ জন রয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসন মনে করছে, নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত না- হলে পরিস্থিতির উন্নতিই হবে।
|
ত্রাণ নিয়ে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকে ত্রাণ পাননি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত নন, এমন অনেকে ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছেন। এই অভিযোগে মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম প্রভাবিত কৃষক কমিটি। বিডিও ঋত্বিক হাজরাকে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। কমিটির অভিযোগ, ত্রাণ বিলি নিয়ে দলবাজি হয়েছে। সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, কৃষি ঋণ মকুব, বিকল্প চাষের জন্য মিনিকিট-সার বিলি, গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রাণ বন্টনে সরকারি প্রতিনিধি ছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি বন্ধের দাবিও ওঠে। |
|