টুকরো খবর
পুজোয় পলিথিন-মুক্ত পরিবেশ থিম শিলচরে
দীপাবলিতে পলিথিন-মুক্ত পরিবেশের কথা জানাবে শিলচরের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। কালীপুজোর দু’দিনের জন্যই শুধু নয়, বছরভর প্ল্যাস্টিক-পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন তাঁরা। আয়োজন করবেন সমাবেশেরও। রজত-জয়ন্তী বছরে এমনই ভাবনা রয়েছে ‘দ্য অ্যাপসলস্’ সংগঠনের। পুজোকর্তারা জানান, তাঁদের অভিযানের জন্য শিলচর পুরসভার ১ থেকে ৪ নং ওয়ার্ডকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই চারটি ওয়ার্ড পলিথিনমুক্ত করা গেলে, তার প্রভাব পড়বে শহরের অন্যত্রও। তাঁরা জানিয়েছেন, পুজোয় অনেক সংগঠনই পরিবেশকে থিম করেন। স্লোগান লেখা হয় মণ্ডপে। কিন্তু পুজোর দিনগুলি কেটে গেলেই সব উধাও। বহু কমিটিকেই দেখা যায়, এক বছর পরিবেশ-বান্ধব মণ্ডপ গড়ল, তো পরের বছরই পরিবেশ-দূষক। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা প্রতি বছর পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা দেয়। কখনও বন সংরক্ষণ, গণ্ডার-শিকার রোধ, হুলক গিবন সংরক্ষণ, এমনই ভাবনা মণ্ডপ তৈরি হয়। কমিটির সম্পাদক অর্চিতেন্দু দাস বলেন, “পুজো প্রাঙ্গণে জল সংরক্ষণেরও নানা দিক তুলে ধরা হবে।” জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজরিকা বলেন, “এ ভাবে প্লাস্টিকমুক্ত সমাজের কথা ছড়িয়ে দিতে পারলে সুফল মিলবেই।” রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সচিব কে কে দত্তের কথায়, “বছরভর প্রচার কর্মসূচির উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”

ত্রিপুরায় নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিব্যাগ
রাজ্যে পলিব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার। অক্টোবর থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের অনুরোধে ওই সময়সীমা বাড়ানো হয়। ত্রিপুরার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী বিজিতা নাথ বলেন, ‘‘১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ রাজ্যে কোনও পলিব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিকেও জানিয়ে দিয়েছে।’’ পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করার জন্য বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়েছে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার সদস্য মিহির দাস জানান, পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারে পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে, তা বারবার সরকারকে বলা হয়েছিল। এর জেরে শহর, গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থা, কৃষিকাজেরও ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, পলিব্যাগের ক্ষতিকারক প্রভাব অনেকটাই কমবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অসমে মজুত পলিব্যাগের পরিমাণের কথা জানান বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সংগঠনগুলির অনুরোধে রাজ্য সরকার চলতি মাসের পরিবর্তে ২০১৪ সালের শুরু থেকে পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা এমনকী ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

বিপদ কাটেনি সেই হস্তিশাবকের
ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় চলছে শুশ্রূষা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
বিপদ না কাটলেও গতকালের থেকে আজ অনেকটাই সুস্থ আছে হস্তী শাবকটি। ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় চিকিৎসাধীন ওই মাস ছয়েকের হস্তিনীটিকে স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া চলছে। চাল, দুধ ও চিনি দিয়ে পায়েস বানিয়ে হাতিটিকে খাওয়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার হাতিটির চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অরুণাংশু প্রতিহার বলেন, “সঙ্কট কেটে গেলেও হস্তী শাবকটিকে বাঁচানো খুব কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে সাঁকরাইলের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া কাশিডাঙা গ্রামের ধানখেত থেকে ওই হস্তী শাবকটি উদ্ধার হয়। হাঁড়িভাঙা থেকে সুবর্ণরেখা পেরিয়ে নয়াগ্রামের দিকে যাওয়ার সময় হাতির দল ওই অসুস্থ হস্তী শাবকটিকে ফেলে রেখে যায়। গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দিলে হাতিটিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত
একটি বাস থেকে ১৫ প্যাকেট অবৈধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল কাঁকসা পুলিশ। মঙ্গলবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পানাগড়ের দার্জিলিং মোড়ে ওই বাজি উদ্ধার হয়। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, বাসটি কলকাতা থেকে রাঁচি যাচ্ছিল। তবে কে বা কারা ওই শব্দবাজি নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ তা জানতে পারেনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.