|
|
|
|
ইচ্ছে করেই আলাদা থাকি |
তাঁর ‘হানি আলকাদি’ তোলপাড় ফেলেছে শহরে। কিন্তু তিনি কোথায়? তিনি যে এখন কয়েক
হাজার মাইল দূরে আমেরিকায়। ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-কে ফোনে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
‘মিশর রহস্য’তে হানি আলকাদির ভূমিকায় আপনার অভিনয় তো প্রশংসিত হচ্ছে... হ্যাঁ, শুনেছি। আমেরিকাতে বসেও শুনতে পাচ্ছি সেটা।
আপনি আমেরিকাতে? ছবি মুক্তির পরেই চলে এসেছি স্ট্যামফোর্ডে। এক মাসের ছুটি কাটাচ্ছি এখানে। আমার শালি এখানে থাকেন। বরখা আর মেয়ে মীরাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছি।
আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলে এখন তো দেশের মাটি কামড়ে বসে থাকত। ‘মেক হে হোয়াইল দ্য সান শাইনস’ গোছের অ্যাটিটিউড নিয়ে। আর আপনি এখন ছুটি নিয়ে আমেরিকাতে চলে গিয়েছেন? আমি দু’বছর একটানা খেটে যাচ্ছিলাম। এটা ঠিক কলকাতায় থাকলে হয়তো একটু বেশি এনজয় করতাম এখন। কিন্তু এই ভ্যাকেশনটা আমরা চার-পাঁচ মাস আগে প্ল্যান করেছিলাম। আমি এই ভেবে সিনেমা করি না যে মুক্তি পেলে আমি রাতারাতি স্টার হয়ে যাব। তা ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়।
কেউ কেউ তো আপনার এই লজিকটাকে ঔদ্ধত্য বা উন্নাসিকতা হিসেবে ভুল করতেও পারেন... দেখুন, আমি ইচ্ছে করেই নিজেকে একটু ডিট্যাচড করে রাখি। সাফল্য নিশ্চয়ই ভাল লাগে। তবে ব্যর্থতার মুখোমুখিও তো হতে হয়। আমি বুঝি যে কাজ করে যেতে হবে। ডিট্যাচমেন্টটা কালটিভেট করেছি। কাজের বাইরে সময়টা আমার পরিবারের জন্য। মীরা বরখার সঙ্গে থাকে। শ্যুটিং না থাকলে মীরা আর বরখা আমার সঙ্গেই থাকে। এত ব্যস্ত থাকি বলেই ঠিক করেছিলাম এই ভ্যাকেশনটা নিতেই হবে। তাই কিছু প্রজেক্টকে না বলতে বাধ্য হয়ে ছুটি নিয়ে চলে এলাম।
কিন্তু অন্যান্য প্রযোজক/পরিচালক তো সহজে আপনার সঙ্গে এখন যোগাযোগ করতে পারবেন না। আপনি তো আলাদা টাইম জোনে আছেন। আমাদের এখানে এখন সকাল ৮টা। আপনার ওখানে? আমার এখানে রাত ১০টা ৩০। আমার তো বেশ কিছু বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি বিশ্বাস করি যে কেউ যদি আমাকে কাস্ট করতে চান, ঠিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এক মাস পর তো আমি দেশে ফিরছি।
ইনসিকিওরিটি হয় না ভেবে যে এই এক মাসে আরও কিছু পেয়ে যেতেন যেটা হয়তো মিস করে যাচ্ছেন? যা হওয়ার, তা হবেই। ওই নিয়ে ভাবি না।
এক সময় আন্ডারডগ হয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। এখন নিজেকে কী ভাবে দেখেন? আমি কোনও দিন আন্ডারডগ ছিলাম না। আই নেভার ফেল্ট দ্যাট।
আচ্ছা, ‘মিশর রহস্য’তে তো আপনার অনেকগুলো ছদ্মবেশ রয়েছে। বাস্তব জীবনে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও কি আপনি মুখোশ পরেন? ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে বেঁচে থাকি। এখনকার দুনিয়ায় এই ডিপ্লোম্যাসিটা সবার লাগে।
অন্যের ফিল্মের প্রিমিয়ারে গিয়ে কী করেন তা হলে? প্রিমিয়ার মানে তো একটা নকল জায়গা। |
|
‘মিশর রহস্য’য়ের হানি আলকাদি: ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত |
ফিল্ম খারাপ লাগলে কী করেন? (হাসি) তখন সিনেমা নিয়ে কথা বলি না। বলি কস্টিউম দারুণ, লোকেশনগুলো ফাটাফাটি, কোরিওগ্রাফিটা ফ্যান্টাস্টিক। মুম্বইতে থেকে থেকে এ সব অনেক দিন আগেই রপ্ত করেছি। আর একটা কথা খুব ব্যবহৃত হয়, ‘ইন্টারেস্টিং’। কেউ যদি সিনেমা দেখে বলেন ‘ইন্টারেস্টিং’, তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায় (হাসি)।
‘অটোগ্রাফ’য়ের পর ‘মিশর রহস্য’তে প্রসেনজিতের সঙ্গে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? মনে হয়েছিল কি যে আপনাকে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে হবে? আমরা কখনওই বিপরীত মেরুতে ছিলাম না। ইট ওয়াজন্ট দ্যাট আই ওয়াজ পিটেড এগেন্সট হিম। সৃজিত লেখে ভাল। এমন দৃশ্য আর সংলাপ লিখেছিল যা আমাকে অভিনেতা হিসেবে সাপোর্ট করেছে। বুম্বাদার সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রিটাও ভাল। কখনও মনে হয়নি যে উনি চেষ্টা করেছেন সব অ্যাটেনশন নেওয়ার।
আপনার কাছে একজন তারকার সংজ্ঞাটা কী? আ স্টার ইজ আ পার্সন হু হ্যাজ ফ্যান ফলোয়িং ইরেসপেক্টিভ অব ফ্লপস। ফ্লপ সত্ত্বেও যাঁর সমর্থকদের সংখ্যা কমে না, তিনিই হলেন তারকা।
ভাল অভিনেতা আর বড় স্টারের মধ্যে যোগটা কোথায়? ভাল অভিনেতা হলেই বড় স্টার হবেন, এমন কিন্তু নয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটা মিলে যায়।
আপনার চোখে বলিউডের সুপারস্টার কে? সেই অর্থে আমার কাছে রিয়েল সুপারস্টার হলেন সলমন খান। এমন কত ফেজ গিয়েছে যখন ওর কোনও ছবি চলত না। কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি।
শাহরুখ খান? আমির খান? আমির খান একজন বড় অভিনেতা। শাহরুখ খান বড় তারকা। তবে সলমন খান ইজ আ সুপারস্টার।
টলিউডে সুপারস্টার আছে? হ্যা।ঁ বুম্বাদা, দেব আর জিৎ।
আপনি? আমি তো বাণিজ্যিক সিনেমা করি না। কমার্শিয়াল ছবি না করলে সুপারস্টার হওয়া যায় না। অন্য ধরনের সিনেমা করলে তার দর্শকও অন্য রকমের হয়। তাঁরা হলেন অ্যানালিটিকাল। তাঁদের রেসপন্সটাও বেশ সাবজেক্টিভ। কিন্তু বাণিজ্যিক ছবির দর্শক হলেন লয়াল। আমি ডিসেন্ট অভিনেতা। এখনও অবধি তারকা নই।
আর শাশ্বত, আবির, পরমব্রতকে কী বলবেন? ওঁরাও এক্সেলেন্ট অভিনেতা।
স্টার নন? স্টারডম কথাটা জনপ্রিয় সিনেমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
শাশ্বত আর পরমব্রত তো ‘প্রলয়’ করেছেন। আবির ‘ব্যোমকেশ’... তবু আমি বুম্বাদা, দেব আর জিৎকেই তারকা বলব।
তাই কি শ্রী ভেঙ্কটেশের ‘অরুন্ধতী’ করছেন? এটা তো ঠিক ৮০টা হলে রিলিজ করার মতো সিনেমা নয়। এই সিনেমাটা দিয়ে কি আপনি দেব-জিৎ’য়ের ‘কমফর্ট জোন’য়ে ঢুকতে চাইছেন? না, আমি কারও টেরিটরিতে ঢুকছি না। ওটা সম্পূর্ণ অন্য ধরনের চরিত্র।
টলিউডে ক্যাম্প আছে? হ্যাঁ, আছে।
আপনি? আমি কোনও ক্যাম্পে নেই।
কী ভাবে এটা চালিয়ে যাচ্ছেন? যে পরিচালক বা ইউনিটের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই, তাঁদের সঙ্গে আপনি কী করে একত্রে কাজ করে যান? এটা কি শুধুমাত্র পেশাদারিত্ব? আমি কোনও ক্যাম্পে নেই বলেই আমার এ নিয়ে কোনও অসুবিধে হয় না। আই ডিজলাইক বিয়িং ওনড্। আমার ধারণা লোকে এত দিনে সেটা বুঝে গিয়েছে। সো নো ওয়ান ওয়ান্টস টু ওন মি অ্যাজ সাচ। (হাসি) লোকেরা খুশি হয় আমার সঙ্গে কাজ করে। আমিও খুশি তাঁদের সঙ্গে কাজ করে।
ইচ্ছে করে দেব, জিৎ’য়ের মতো রোম, তুরস্কে গিয়ে হিরোইনকে নিয়ে গান শ্যুট করে জনপ্রিয় সিনেমা করতে? নাকি ইজিপ্টের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ আবৃত্তি করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আপনি? দেখুন বিদেশি লোকেশনে গিয়ে হিরোইনের সঙ্গে নাচগান করাটা আমার আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পড়ে না... আমার কাছে যেটা ম্যাটার করে, সেটা হল ভাল সিনেমা। আর সেই ভাল সিনেমা যদি জনপ্রিয় হয়, তা হলে তো কথাই নেই।
ভাল সিনেমা আর জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে যোগ কতটা? কিছু ক্ষেত্রে যোগ থাকে। যেমন ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। দু’টোই খুব শহুরে ছবি। কিন্তু ছোট শহরে চলেছে। কী ফর্মুলা কাজ করেছে জানি না। তবে এটাও ঠিক যে বেশির ভাগ ভাল সিনেমা আমাদের দেশে জনপ্রিয়তা পায় না।
ইন্ডাস্ট্রিতে এই সময় এমন কোনও অভিনেতা আছেন যাঁকে আপনার হিংসে হয়? না, কাউকে হিংসে হয় না। যেটা যার প্রাপ্য, সে তা পাচ্ছে বলেই আমার ধারণা।
অনেকের ভয় যে ‘মিশর রহস্য’তে অভিনয়ের প্রশংসার পর আপনি হয়তো টপাটপ ছবি সাইন করবেন। তাতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল নাও থাকতে পারে... আমি চেষ্টা করব যতটা পারি কোয়ালিটি বজায় রাখতে।
দেশে ফিরে সিনেমা সাইন করার ব্যাপারে আপনার ক্রাইটেরিয়া কী থাকবে? ভাল গল্প, ভাল চরিত্র, ভাল পারিশ্রমিক। কিছু সময় প্রোডাকশন হাউস আর পরিচালকও ইম্পর্ট্যান্ট।
এই ইম্পর্ট্যান্সের অর্ডারটা কী? প্রথমে ভাল গল্প আর ভাল রোল, দ্বিতীয়ত পরিচালক, তৃতীয়ত প্রযোজক। আর সব থেকে শেষে টাকা।
আপনি নাকি কিছু সিনেমাতে আজকাল দিনপ্রতি দেড় লক্ষ টাকা করে চাইছেন? টাকাটা কতটা জরুরি আপনার কাছে? আমি কোনও দিন পার ডে হিসেবে চার্জ করিনি। সেটা তো টেলিভিশনের ফর্ম্যাট। সিনেমার ক্ষেত্রে আমি একটা গোটা ফিল্মের জন্য চার্জ করি।
হরেদরে হিসেব করলে নাকি ওই রকম একটা অঙ্কে এসে দাঁড়ায়! আমি বিশ্বাস করি কম টাকা নিলে ভবিষ্যৎটা সিকিওরড হয় না। যদি আপনি ভাল হন, লোকে আপনার সঙ্গে কাজ করবে। আর যদি ভাল না হন, তা হলে আপনি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে চাইলেও কেউ এগিয়ে আসবে না।
টলিউডের অভিনেতাদের (স্টার নয়) মধ্যে আপনি কি একটু বেশি প্রাইসি হয়ে যাচ্ছেন না? আমি সে ভাবে হিসেব করে দেখিনি। তবে আমার এই দর্শনটা একদম পরিষ্কার। ইয়েস, আই এগ্রি, বাই ক্যালকাটা স্ট্যান্ডার্ডস আই অ্যাম প্রিটি ওয়েল পেড।
বরখা আপনার সিনেমা দেখে কী বলেন? ‘মিশর রহস্য’ দেখে বরখা আমাকে বলেছিল: ‘ইউ হ্যাভ ডান আ গ্রেট জব’। প্রথমে ভেবেছিলাম যে ও বোধহয় বায়াসড। তবে তার পর এটাও মনে হল যে, যে ক’বার ও আমার কাজ ভাল বলেছে, সেগুলো সত্যিই ভাল ছিল। ‘অটোগ্রাফ’য়ের সময় বলেছিল। ‘অংশুমানের ছবি’, ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’, ‘জানালা’তেও তাই।
কোনও মুভি দেখে বরখা কি বলেছেন এটা তুমি কেন করলে? ও তো এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে। ও জানে কিছু কাজ গাট ফিলিংয়ের ভিত্তিতেই করতে হয়। একটা সিনেমা তো আমি একা করি না।
কখনও কেউ ১০০ শতাংশ ঠিক চয়েস করে না। খারাপ ভার্সেস ভাল সিনেমা চয়েসের রেশিওটা হল সেভেন ইজ টু থ্রি।
দিওয়ালি সামনে। গ্যাম্বলিংয়ে বিশ্বাস করেন? সিওর শট কেউ হতে পারে না সিনেমা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। দিওয়ালিতে জুয়া খেলি না আমি। তবে কেরিয়ারের ক্ষেত্রে ক্যালকুলেটেড রিস্ক তো নিতেই হয়।
কিছু সিনেমা তো আপনি করেছেন যা দেখে প্রথম থেকেই মনে হয়েছে যে দারুণ হবে না... সেটা সব অভিনেতারাই করে। সবাই চায় ভাল পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে। কিন্তু ভাল পরিচালকের সংখ্যা খুব কম। তাঁরাও আবার প্রত্যেক বছর সিনেমা করেন না। আর সব সিনেমাতেই আমাকে নেবেন এমনটা তো ভাবা উচিত নয়। তাই কোয়ালিটি কাজ যে সব সময় আসবে এটাও ভাবা উচিত নয়। এটা বুঝতে হবে যে অভিনয় করাটা ভাল কাজ দেখানোর পাশাপাশি আমাদের জীবিকারও মাধ্যম। স্ক্রিপ্ট দেখে, চরিত্র দেখে একটা ছবি বাছাই করতে পারি। কিন্তু তার পর এটা একটা সমবেত প্রচেষ্টা। পরিচালনা, সম্পাদনা সব কিছুর মেলবন্ধন দরকার। এতগুলো ভেরিয়েবল প্যারামিটারের মধ্যে যে কোনও একটা খারাপ হয়ে যেতেই পারে। ‘গুড সিনেমা ইজ এ রেয়ার হ্যাপেনিং’ কেউ তার ফর্মুলাটাই জানে না।
শ্যুটিং শুরু হওয়ার পরে কখনও বুঝতে পেরেছেন যে যত চেষ্টাই করুন না কেন সিনেমাটা ঠিক দাঁড়াবে না? চার-পাঁচ দিন শ্যুটিং করার পর একটা ধারণা করা যায়। কিন্তু তখন তো আমি প্রোজেক্টের প্রতি দায়বদ্ধ। চেষ্টা করি আমার সেরাটা দিতে। ভাবি যতটা পারি করে যাব।
এটা ভাবেন না যে একটা খারাপ ছবিতে আপনি থাকলে আপনার ফ্যানদের ওপর কী ইমপ্যাক্ট হতে পারে? নিশ্চয়ই খারাপ লাগে। বুঝি যে তাঁদের হয়তো ভাল লাগে না। কিন্তু তত দিনে তো শ্যুটিং শেষ।
সেই সব সিনেমা কি তার পরেও আপনি প্রোমোট করেন? নাকি বলেন, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি? আমি ছবিটার প্রচার করি। সন্দেহ থাকলেও ছবিটাকে সাপোর্ট করি। অনেক বার এমনও হয়েছে যে আমার মনে হল সিনেমাটা খুব খারাপ। কিন্তু দেখলাম দারুণ ব্যবসা করল। তখন? আমার ধারণাটা যে শেষ কথা সেটা আমি বিশ্বাস করি না।
ফিরে দেখলে কোন সিনেমাতে অভিনেতা ইন্দ্রনীলের কাজ আপনার সব চেয়ে ভাল লেগেছে? আর কোনগুলো দেখে মনে হয়েছে, অভিনেতা হিসেবে ঠিক জমাতে পারেননি? ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’, ‘অটোগ্রাফ’ ‘অংশুমানের ছবি’, ‘জানালা’, ‘মিশর রহস্য’, ‘অপরাজিতা তুমি’, ‘যদি একদিন’, ‘এলার চার অধ্যায়’, ‘নায়িকা সংবাদ’.... এ ছাড়াও আরও অনেকগুলো মেমরেবল কাজ করেছি। আমার ধারণা আমার শ্রেষ্ঠ কাজ ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’তে। তবে এটাও বলব সব সিনেমা দেখে পরে মনে হয় আরও ভাল করা যেত। |
প্রিমিয়ার মানে তো একটা নকল জায়গা। কেউ যদি সিনেমা দেখে
বলেন ‘ইন্টারেস্টিং’, তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়
•
ফ্লপ সত্ত্বেও যাঁর সমর্থকদের সংখ্যা কমে না, তিনিই তারকা। কোনও
দিন আন্ডারডগ ছিলাম না। আমি ডিসেন্ট অভিনেতা। এখনও অবধি তারকা নই
•
টলিউডে ক্যাম্প আছে। তবে আমি কোনও ক্যাম্পে নেই। আই ডিজলাইক
বিয়িং ওনড্। আমার ধারণা লোকে এত দিনে সেটা বুঝে গিয়েছে |
|
ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর দিচ্ছেন। আচ্ছা এমন কোনও ছবি আছে যেখানে সমালোচকেরা আপনার কাজ পছন্দ করেননি আর আপনিও তাঁদের সঙ্গে সহমত? সত্যি আমি মনে করি প্রতিটা রোল যদি আবার করার সুযোগ পেতাম তা হলে আরও ভাল করতাম। আমি সমালোচকদের রেটিংয়ের খুব একটা গুরুত্ব দিই না।
মানে সমালোচক যদি বলেন আপনি ভাল, তা হলে আপনি সেটা সিরিয়াসলি নেন না কারণ আপনি জানেন যে অভিনয়টা আপনি ভালই করেন? আর সমালোচক যদি বলেন আপনি খারাপ তা হলে নিজেকে বলেন ‘দিল পে নহি লেনা ইয়ার’? (হাসি) তা নয়। তবে ভাল বললেই আমি লাফাতে শুরু করি না। ভাল শুনতে কার না ভাল লাগে? আর বাজে বললে খারাপ তো লাগবেই। তবে মুষড়ে পড়ি না। আমি চেষ্টা করি নিস্পৃহ থাকতে।
বলিউডে কেমন কাজ এগোচ্ছে আপনার? সাঙ্ঘাতিক কিছু নয়। আমি বলিউডে কেরিয়ার তৈরি করার জন্য আলাদা করে কখনও চেষ্টা করিনি। ভাল কোনও রোল এলে সেটা করি।
বরখা তো বেশ টুকটুক করে বলিউডে কাজ করছেন... হ্যা।ঁ বরখার জন্য আমি গর্বিত। আমি ‘সত্যাগ্রহ’ করলাম। ও সঞ্জয় লীলা বনশালীর ‘রামলীলা’ করেছে। সো উই আর ওয়ান অল। ( হাসি)
আরও একটা সুরজ বরজাতিয়ার প্রোডাকশনে সিনেমাও তো করছেন?
ছোট্ট একটা রোল আমার ওই ছবিতে। বরখা আমার স্ত্রীর ভূমিকায় আছে।
সিনেমা করতে গেলে কি বরখা আজও আপনাকে বলে এটা করবে না, সেটা করবে না? না সেটা নয়। আমিও ওকে এই রকম কিছু বলি না।
শুনেছি কিসিং সিন থাকলে আপনি নাকি ক্যামেরাকে চিট করে নায়িকার গালের পাশের দেওয়ালে চুমু খান? আই ট্রাই টু অ্যাভয়েড লিপলকস্।
কেন? ভাল সিনেমার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে এটা খুব কমন ব্যাপার। সলমন, প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎ কারওরই তো এ বিষয়ে আপত্তি নেই। আমার আছে।
এটা কি বাড়িতে শান্তিরক্ষা করার জন্য? এটা আমার চয়েস। কোনও প্রেশার থেকে এটা বলছি না। আই ফিল দ্যাটস হাউ ইট শ্যুড বি।
আচ্ছা আপনি কি বরখাকে ভয় পান? যে ভাবে প্রচুর ছেলে তাঁদের স্ত্রীকে ভয় পেয়ে থাকেন। না রেগে গিয়ে এটার উত্তর দেবেন প্লিজ? আমার ক্ষেত্রে এটা ভয় বলা যায় না। আই নেভার টেক হার ফর গ্র্যান্টেড।
রাত তো অনেক হল। দেড় কোটি টাকার পেন্টহাউজ কলকাতাতে, আরও দুটো ফ্ল্যাট মুম্বই আর কলকাতা মিলিয়ে। ফুটফুটে একটি কন্যা। স্ত্রীও সফল অভিনেত্রী। ঘুমোতে গেলে এখন স্বপ্ন কী নিয়ে দেখবেন? ক’টা বাড়ি গাড়ি এই নিয়ে স্বপ্ন দেখিনি কোনও দিন। তবে ভাল ভাবে থাকার স্বপ্ন নিয়ে আমি বাঁচি। |
|
|
|
|
|