প্রসূতিদের সিজার ব্যবস্থা চালু হল চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সোমবার ওই ইউনিটের উদ্বোধন করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় নতুন এই বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হয়। স্বাস্থ্য দফতর দু’জন শল্য-চিকিৎসক এবং দু’জন অ্যানাস্থেটিস্ট নিয়োগ করেছে। আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মহিলারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রসবের ক্ষেত্রে এত দিন এখানে সিজারের ব্যবস্থা ছিল না। ফলে, সিজারের প্রয়োজন হলেই শ্রীরামপুর বা কলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হত প্রসূতিদের। এতে তাঁদের যেমন ধকল বাড়ত, তেমনি পরিবারের লোকেরা নাকাল হতেন। ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই আশপাশের নার্সিংহোমের শরণাপন্ন হতেন। |
সোমবার ইউনিট উদ্বোধনের ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে। |
কিন্তু বহু গরিব পরিবারের পক্ষে তা সম্ভব হত না। এ বার গ্রামের এই হাসপাতালে সিজার চালু হওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই কমবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। এ দিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চণ্ডীতলা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সন্টু রিট, বিএমওএইচ অমিত সরকার প্রমুখ। কিছু দিন আগেই সেখানে চাইল্ড কেয়ার ইউনিটও চালু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকায় চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হয়। দু’টি অপারেশন থিয়েটারও তৈরি হয়। নতুন যন্ত্রপাতি বসানো হয়। কিন্তু দামি যন্ত্রপাতি স্রেফ পড়ে নষ্ট হচ্ছিল। স্থানীয় মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই এখানে সিজার ইউনিট চালু করার দাবি তুলছিলেন। অবশেষে এই ইউনিট চালু হওয়ায় গ্রামবাসীরা খুশি। |