উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি
|
শহরের ১০ নম্বর ওয়াডের্র উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি শুরু করেছে জলপাইগুড়ির ডান-বাম সব দলই। কংগ্রেস ও সিপিএম ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার দলের বৈঠকে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে।
এক সময়ে বামেদের ‘খাস তালুক’ বলে পরিচিত ছিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড। সিপিএমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিবপদ ভৌমিক এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর ছিলেন। ২০০৫ সালের পুর-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী জয়লাভ করেন। সেই থেকে ওই ওয়ার্ডটি কংগ্রেসেরই দখলে। সম্প্রতি কংগ্রেস কাউন্সিলর তারা রায়ের মৃত্যুর পরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ শূন্য হয়ে পড়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। প্রয়াত কাউন্সিলরের আত্মীয় সুশীল সিংহকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রয়াত কাউন্সিলর তারা রায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৩ বছর ধরে ওয়ার্ডের কাজ সুশীলবাবুই সামলাতেন। তাই তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে বলেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে দলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে। সিপিএমের থেকে প্রার্থী করা হয়েছে, দীপক মিশিরকে। পুরসভায় সিপিএমের বিরোধী দলনেতা প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “গত ৮ বছর ধরে ওয়ার্ড কমিটিকে পঙ্গু করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ওয়ার্ডের কাজ হচ্ছে। যার জেরে ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। সেটি তুলে ধরা হবে।”
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “ওয়ার্ডের উন্নয়ন না হলে পরপর দু’বার সাধারণ বাসিন্দারা কংগ্রেসকে ভোট দিতেন না। বাসিন্দারা জানেন কংগ্রেসের নেতৃত্বে কী উন্নয়ন হয়েছে। উপনির্বাচনে ফের সেটি প্রমাণ হবে।” তৃণমূলের তরফেও ওয়ার্ডে তরুণ অথবা বিশিষ্ট কাউকে প্রার্থী করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে জলপাইগুড়ি শহরের একটি ওয়ার্ডের ভোটে জিতে পুরসভাতে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় তৃণমূল। বর্তমানে পুরসভার একটি মাত্র ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জলপাইগুড়ি শহর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রসাদ রায় বলেন, “আজ মঙ্গলবার দলে বৈঠক করে প্রার্থীর নাম স্থির করা হবে। বর্তমানে সরকার প্রতিটি জেলায় উন্নয়নের ঢালাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যদিও জলপাইগুড়ি পুরসভা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না। এর প্রতিবাদেই বাসিন্দারা ভোট দেবেন।” |