কাজ না করেও মজুরির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ছাতনা
|
কাজ না করেও কয়েক জনকে বছরে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ছাতনা ব্লকের শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরা গ্রামের এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে সোমবার ছাতনার বিডিও-কে স্মারকলিপি দেন ওই এলাকার ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পে কেশরা গ্রামে একটি জমি সমতল করার কাজ সম্প্রতি শেষ হয়। ওই গ্রামেরই প্রায় ৯০ জন শ্রমিক এই কাজে যুক্ত ছিলেন। দিন কয়েক আগেই এই প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা স্থানীয় ডাকঘরের মাধ্যমে মিটিয়ে দেওয়া হয়। জমি সমতলের কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে রঞ্জিত মাল, চণ্ডী মাল, মহাদেব মালদের অভিযোগ, “এমন পাঁচ জনকে মজুরি দেওয়া হয়েছে, যারা আদৌ ওই প্রকল্পে কাজ করেনি। প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, কেশরা গ্রামের ওই প্রকল্পের কাজে দু’জন সুপারভাইজার ছিলেন। ফোনে তাঁদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি। শালডিহা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান টেলু কর বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।” ছাতনার বিডিও সুতপা নস্কর বলেন, “শ্রমিকদের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
মারামারিতে মৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেন্দা
|
মাছের ভাগ নিয়ে বিবাদের জেরে নিজেদের মধ্যে কুড়ুল নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে শবর সম্প্রদায়ের দু’জন মারা গেলেন। সোমবার বিকেলে কেন্দা থানার অকড়বাইদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম প্রকাশ ওরফে পৈতু শবর (২৮) ও পল্টু শবর (৪০)। দু’জনেরই বাড়ি অকড়বাইদ গ্রামে। রাতে পুলিশ গ্রামে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে পৈতু ও পল্টু গ্রামের অদূরে একটি খালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাছের ভাগ নিয়ে প্রথমে দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। হঠাত্ই কুড়ুল দিয়ে দু’জনে পরস্পরকে কোপ মারতে থাকে। কেউ তাঁদের থামানোর সাহস করতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যান। |
রেললাইনের পাশে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম মদন সিংহ (৩৩)। বাড়ি পুরুলিয়ার কেতিকা এলাকায়। সোমবার সকালে পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে তাঁর দেহ মেলে। মৃতের ভাই যদুনাথ সিংহ বলেন, “দাদা পাচকের কাজ করত। চুক্তির কাজ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তাই তার আসা যাওয়ার সময়ের ঠিক ছিল না। রবিবার রাত আটটা নাগাদ ওই কাজেই দাদা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সোমবার সকালে খবর পাই, দাদার দেহ বাড়ির কিছু দূরে রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।” পুরুলিয়া রেলপুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। |
মারা গেলেন পুরুলিয়ার বিশিষ্ট ভাষাকর্মী হংসধ্বজ মাহাতো (৯০)। রবিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। হংসধ্বজবাবুর বাড়ি বান্দোয়ানের শ্যামনগরে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। লোকসেবক সঙ্ঘের সচিব সুশীল মাহাতো বলেন, “হংসধ্বজবাবু মানভূম জেলার বঙ্গভুক্তি আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন। ওই আন্দোলনের জেরে পুরুলিয়ার পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল। তিনি স্ত্রী, পুত্র-কন্যা রেখে গিয়েছেন।” |