নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তির অভিযোগ উঠল একটি সরকার অনুমোদিত একটি বেসরকারি বিএড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতির দ্বারস্থ হয়েছেন কলেজের পড়ুয়া ও পরিচালন সমিতির সদস্যদের একাংশও। রায়দিঘি কলেজ ক্যাম্পাসে ওই বিএড কলেজটির ক্লাস হয়।
২০০৯ সালে সরকারি অনুমোদন পায় ওই বিএড কলেজটি। কলেজটিতে মোট ১০০টি আসন রয়েছে। তার অর্ধেক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (ডেপুটেড) জন্য সংরক্ষিত, অর্ধেক সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে। মেধাতালিকা অনুযায়ী ছাত্র ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তির সময়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়। পরে আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হয় পড়ুয়াদের। কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য নিতাই মণ্ডলের অভিযোগ, “ভর্তির দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুদীন সিংহ বেআইনি ভাবে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়া ভর্তি করিয়েছেন। সেখানে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিএড-এর সেশন শুরু হওয়ার আগে ১৩ ও ১৪ সিঅগস্ট কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। প্রার্থীদের মেধাতালিকা অনুযায়ী ২০ অগস্ট ৫২ জন সাধারণ পড়ুয়া ও ২৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বিএডে ভর্তি হন। এর কিছুদিন পর কলেজের পরিচালন সমিতির কিছু সদস্য ও কয়েকজন ছাত্রছাত্রী পরিচালন সমিতির সভাপতি মদন মোহন চেলের কাছে অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে আরও ২৯ জনকে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানে মেধাতালিকা মানা হয়নি, এমনকী পরিচালন সমিতির সঙ্গেও কোনও বৈঠক করা হয়নি। সুদিনবাবুর অবশ্য দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েই ভর্তি করানো হয়েছে। কারওর থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়নি। সুদিনবাবু বলেন, “আসন খালি পড়ে থাকায় কয়েকজনকে পরে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশি অর্থ নেওয়া হয়নি। যারা অভিযোগ করছেন, তারা অভিযোগ প্রমাণ করুন।”
পরিচালন সমিতির সদস্যদের অভিযোগের বিষয়টি কলকাতা বিশ্ব-বিদ্যালয়েও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি মদন মোহন চেল।
রায়দিঘি কলেজ ও বিএড কলেজের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” |