ধুলিয়ানে পুরপ্রধান পদ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। দলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সোমবার অনাস্থা আনলেন তৃণমূলের ১১জন কাউন্সিলার। ১৯ সদস্যের ওই পুরসভায় ১৩জন সদস্য রয়েছেন তৃণমূলের। বাকি ৬জন বামফ্রন্টের।
সোমবার দলীয় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দিলীপ সরকারও। তিনি বলেন, “গত এপ্রিল মাসে তৃণমূলের ১০জন কাউন্সিলর ছিলেন। বাধ্য হয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে আসা কাউন্সিলর তুষারকান্তি সেনকে পুরপ্রধানের পদে বসানো হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর সিপিএমের ৩ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩। তাই তুষারবাবু পুরপ্রধান হিসেবে যে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে ১১জন দলীয় কাউন্সিলর মিলে অনাস্থা এনেছি।”
পুরপ্রধান তুষারকান্তি সেন অবশ্য বলেন,“১১জন দলীয় কাউন্সিলরের সই করা অনাস্থার নোটিশ পেয়েছি। রাজ্য ও জেলার যে সব দলীয় নেতারা আমাকে পুরপ্রধান পদে নিয়োগ করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলব। দল বললে আমি অবশ্যই ইস্তফা দেব।”
ধুলিয়ানে ২০১০ সালে ১৯জনের মধ্যে ১০জন দলীয় সমর্থককে নিয়ে পুরবোর্ড গড়ে বামফ্রন্ট। ৯জন ছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেসের ৯জন ও বামফ্রন্টের ১জন মিলে অনাস্থা আনে বাম বোর্ডের বিরুদ্ধে। পরে ১০জনই যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে পুরপ্রধান হন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যাওয়া তুষারকান্তি সেন। ৮ সেপ্টেম্বর সিপিএমের তিন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের শক্তি বেড়ে ১৩তে দাঁড়ায়। তখন থেকে পুরপ্রধান পদ থেকে তুষারবাবুকে সরাতে উঠে পড়ে লাগে দলের সিংহভাগ কাউন্সিলর। ধুলিয়ান পুরসভার দলীয় রাজনীতির দেখাশোনার দায়িত্ব জেলার কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীরের। তিনি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারের বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মুকুল রায়কে জানানো হয়েছে।” |