প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও দুর্গাপুজো নিরাপদে কেটেছে নিরাপত্তা জোরদার থাকায়। দুর্গাপুজোর সেই আঁটোলাটো নিরানিরা দীপাবলিতে ধরে রাখতে চায় নদিয়ার কল্যাণী মহকুমার পুলিশ প্রশাসন। আর সেই কারণেই কালীপুজোয় শব্দ বাজির দৌরাত্ম্য রুখতে ইতিমধ্যেই বাজি তৈরির কারখানা এবং কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদহের বিভিন্ন বাজারে খুচরো বাজি- বিক্রেতাদের উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। কালীপুজোর সময় ইভটিজিং রুখতে এ বার মহিলা পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী গড়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। সাদা পোশাকে থাকা মহিলা পুলিশ বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ ও মেলায় ছড়িয়ে থাকবেন ‘রোমিও’দের হাতেনাতে ধরার জন্য। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, ‘‘একটি কন্ট্রোল রুম করা হচ্ছে, যেখান থেকে মহকুমার সমস্ত পুজোর ট্রাফিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নজর রাখা হবে।’’ মহকমায় কালীপুজোর সংখ্যা একশো’র কিছু বেশি। বেশ কিছু জায়গায় পুজোকে ঘিরে মেলা বসে। মহকুমায় তিনটি থানার মধ্যে দূরত্ব বেশি হওয়ায় পুলিশের মোবাইল সহায়তা কেন্দ্র গড়ারও পরিকল্পনার হচ্ছে। পুজোয় শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা রক্ষায় কি করতে হবে তা প্রচারের জন্য মণ্ডপগুলিতে সিডি বাজানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসডিপিও বলেন, ‘‘শব্দবাজি রুখতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার পাশপাশি মানুষকে সচেতন করতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলে মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য সহায়তা কেন্দ্রও বাড়ানো হচ্ছে।”
|
বিরোধীশূন্য চাকদহ পুরসভার উপ পুরপ্রধান নির্বাচন ঘিরে শাসকদলের অর্ন্তকলহ প্রকাশ্যে চলে এল। রবিরার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর পুরপ্রধান হিসেবে দীপক চক্রবর্তী ও উপ পুরপ্রধান হিসেবে বর্ষীয়ান নেতা সুকুমার রায়ের নাম ঘোষণা করেন। এ দিন সন্ধ্যায় দলের ২১ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে চাকদহের বিধায়ক নরেশচন্দ্র চাকি। তাঁর সামনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমারবাবু উপ পুরপ্রধানের পদ প্রত্যাখান করেন। তিনি বলেন, “যে যার নিজের লোককে নিয়ে কাজ করুক। আমার কোনও পদের দরকার নেই। কাউন্সিলর হিসেবেই কাজ করতে চাই।” সুকুমারবাবু তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে শেষমেশ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমলেন্দু দাসের নাম উপ পুরপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অনেকের ধারণা, দীর্ঘদিনের সংগঠক সুকুমারবাবু পুরপ্রধান হতে না পেরে এই সিদ্ধান্ত নিলেন। এ ব্যাপারে তিনি অবশ্য কোনওকিছুই ভেঙে বলেননি। বিধায়ক নরেশবাবু বলেন, “২৩ অক্টোবর বোর্ড গঠন হবে। উপপ্রধান হিসেবে সুকুমারবাবুর নাম ঠিক হলেও তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি। এতে দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ্বের কোন বালাই নেই।”
|
সারাভারত মহিলা সমিতির রাজ্য কমিটির সম্মেলনে এসে সোমবার সংগঠনের নেত্রীরা দাবি করলেন বামপন্থার প্রতি মহিলাদের আস্থা ফিরছে। তাদের দাবি, ২০১০ সালে এ রাজ্যে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৫ লক্ষ ৪ হাজার। পরের বছর সেই সংখ্যা অনেকটাই কমে। ২০১২ সাল থেকে সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি বছর সদস্য সংখ্যা ৪০ হাজার বেড়ে হয়েছে ৪২ লক্ষ ১৫ হাজার। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মিনতি ঘোষ বলেন, “এটা থেকে পরিষ্কার বর্তমান সরকারের প্রতি মহিলাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। এই সরকারের আমলে নারী নির্যাতনের ঘটনা সাতের দশকের কংগ্রেসী শাসনকেও হার মানাচ্ছে।”
|
বজ্রাহত হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মালেক মিঞা (৫১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ দিন হরিণঘাটার গোয়ালডোব মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মালেক ও তাঁর স্ত্রী ফতেমা বিবি বাড়ির পাশেই মাঠে কাজ করছিলেন। তখনই বাজ পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মালেক মিঞা মারা গেলেও তাঁর স্ত্রী চিকিত্সার পর সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
|
নবজাতক আসছে, এই খবরে আনন্দ-উত্তেজনা ছিল পরিবারে। পথ দুর্ঘটনায় বদলে গেল ছবিটা। মৃত্যু হল আসন্নপ্রসবার। মারা যান প্রসূতির শাশুড়ি ও মাসিমাও। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটে ফতেপুর গ্রামের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আসন্নপ্রসবা মেহেবুবা বিবি (২০)-কে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর শাশুড়ি রুবি বিবি ও মাসিমা হেনা বিবি। একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন।
|