|
|
|
|
ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
যথাযথ পরিষেবা মিলছে না। এই অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। সোমবার মোহনপুরের নীলদা বড়াই বাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন স্থানীয় গ্রাহকেরা তৃণমূলের সমর্থনে ওই ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখান। ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ চলার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিডিও সুলোককুমার প্রামাণিক। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিদিনই সকাল থেকে ব্যাঙ্কে এসেও নানা ‘অজুহাতে’ ব্যাঙ্ককর্মীরা কাজ না করায় ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। একশো দিনের কাজের জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলা, কৃষক ঋণ-সহ অন্য পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক ধরেই ওই ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা কম রয়েছে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারও ছুটিতে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার বদলি হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনই বেলা বাড়তেই লম্বা লাইন পড়ছে ব্যাঙ্কে। ফলে বাধ্য হয়ে কাজ না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বয়স্ক মানুষদেরও। বিক্ষোভকারী শ্রীপতি কণ্ডু বলেন, “তিন ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরেও কিষান ক্রেডিট কার্ডের ঋণের টাকা তুলতে এসেও আমাকে ফিরে যেতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মতো বয়স্ক মানুষকে এভাবেই ঘুরতে হচ্ছে।” আবার ব্যাঙ্কের ‘জিরো ব্যালান্সে’ অ্যাকাউন্ট খুলতে এসেও পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ একশো দিনের শ্রমিক কেদারনাথ মাইতি। তিনি বলেন, “বিনা পয়সায় অ্যাকাউন্ট খোলার কথা থাকলেও আড়াই হাজার টাকা জমা করতে হয়েছে। এক মাস আগে সেই টাকা দিয়েও এখনও পাশ বই বা কাগজপত্র পাইনি।” বিডিও বলেন,“ব্যাঙ্ককে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। ব্যাঙ্কার্স মিটিংয়ে আমি বিষয়গুলি বলেছি।” ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ পাত্র ও পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন পাত্ররা বলেন, “এলাকার মানুষ এই ব্যাঙ্ক থেকে কোনও পরিষেবা পায় না। তাই মানুষই পরিষেবা না পেয়ে ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা এসে তালা খুলে ব্যাঙ্ক চালু করেছি।” ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জেলা কো-অর্ডিনেটর নিরঞ্জন পান্ডা জানান, কর্মীর অভাবে কয়েক দিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। এখন অন্য শাখা থেকে কর্মী এনেও কাজ করা হচ্ছে। এর পরেও কোনও সমস্যা থাকলে গ্রাহকেরা লিখিতভাবে জানাতে পারেন। তবে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। |
|
|
|
|
|