|
|
|
|
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক জেলাশাসকের |
দ্রুত রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খড়্গপুর থেকে চিচিড়া পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল। খানাখন্দে ভরা পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ও চলেছিল হেলেদুলে। রাজ্য সড়কগুলিরও একই হাল। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এলাকার মানুষও রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের পর এক সপ্তাহও হয়নি। তড়িঘড়ি জাতীয় সড়ক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি। সোমবার জেলাশাসকের অফিসে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সড়ক বিভাগের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর তপন বৈদ্যও। আগেই ঠিক ছিল, খড়্গপুর থেকে চিচিড়া হয়ে বিহারের মহুলিয়া পর্যন্ত ১২৫ কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে করা হবে। কিন্তু তার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। অধিগ্রহণ শেষে বর্ষার পর রাস্তা সংস্কারের কাজে নামার কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগেই রাস্তার হাল এতটা খারাপ হয়েছে যে পথ চলা দায়। সাধারণ মানুষ চান, নতুন রাস্তা যখন হবে হোক তার আগে মেরামত প্রয়োজন। এ ব্যাপারেই এ দিন বৈঠক হয়। জেলাশাসক বলেন, “যাতে দ্রুত রাস্তা মেরামত করে তা চলাচলের উপযোগী করা হয় তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই মেরামতের কাজ শুরু করে দেবে বলে জাতীয় সড়ক বিভাগ জানিয়েছে।”এ তো গেল জাতীয় সড়কের কথা। কিন্তু রাজ্য সড়কগুলি? মেদিনীপুর থেকে কেশপুর হয়ে চন্দ্রকোনা যাওয়ার রাস্তাটির জীর্ণ দশা। বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে নেড়াদেউল থেকে ঝাঁকরা হয়ে ঘাটাল যাওয়ার রাস্তাও। জেলার অন্যত্রও রাস্তার এমনই দশা। বেশিরভাগ রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য। খন্দপথে বাস চলাচলও কমেছে। বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এতটাই বেড়েছে যে বাস চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সড়ক মেরামত নিয়ে আজ, মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলাশাসক। কোন কোন রাস্তা সব থেকে খারাপ, কোথায় সেতু বা কালভার্ট খারাপ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সব রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “বন্যা ও বৃষ্টিতে রাস্তাগুলি খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। তা দ্রুত মেরামত করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরিরও বক্তব্য, “জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার করতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|