অন্ধকার রাস্তায় আর চেপে রাখতে না পেরে দাঁড়িয়েই পড়েছিলেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে। হালকা হওয়ার আমেজে মেজাজ যখন ফুরফুরে, তখনই হঠাৎ পিছন থেকে কেউ যেন খামচে ধরল জামাটা। সম্বিৎ ফিরতে ফিরতে পিছনে ততক্ষণে হাজির আস্ত এক পুলিশ বাহিনী। দাবি একটাই, রাস্তাঘাটে এমন কুকীর্তি করলে মানেমানে কড়ি ফেল। আর নইলে, এই নাও ন্যাতা-বালতি। নিজের ক্লেদ নিজে সাফ করো।
|
না, এ দেশ ভাবার কোনও কারণ নেই। রাস্তাঘাটের ‘কীর্তিমানদের’ হাতেনাতে ধরতে এ বার এই বিশেষ অভিযানে নেমেছে ম্যানচেস্টার পুলিশ। কাজটা আদতে যা-ই হোক না কেন, গালভরা একটা নামও দেওয়া হয়েছে তার— অপারেশন ইউরিনেশন। গত শনি ও রবিবার এদের জালে ধরা পড়েছেন চার যুবক। তাদের মধ্যে দু’জন আবার ভিনদেশি। ফুটবল ম্যাচ দেখতে এসে ম্যানচেস্টারের ডিনসগেট লকসের কাছে যখন নিশ্চিন্তে প্রস্রাব করছিলেন, সেই সময়ে তাঁদের পাকড়াও করে গ্রেটার ম্যানচেস্টার এলাকার পুলিশ। |
অথচ এই একই ছবি হরহমেশা দেখা যায় কলকাতার যত্রতত্র, গোটা দেশের মতোই। আর তা আটকাতে? দেওয়ালের গায়ে বা প্রকাশ্য রাস্তায় প্রাকৃতিক কর্ম আটকাতে বড়জোর দেওয়াল জুড়ে বড় বড় হরফে সতর্কবাণী, কিংবা দেবতার ছবি সাঁটা। ব্যস! পুলিশ কিংবা কলকাতা পুরসভা সব দেখেও কার্যত ‘নির্বিকার’। গত ২১ সেপ্টেম্বর আনন্দবাজারের ‘কলকাতা’র পাতায় শহরবাসীর এমন কীর্তির ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরেও পরিস্থিতির হেরফের হয়নি এতটুকুও। হেলদোল নেই পুলিশ বা পুরসভারও। এমনকী ম্যানচেস্টারের এই উদ্যোগের কথা জানিয়ে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি কারও কাছেই।
|