একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্য সরকার নীরব। সিটুর সমর্থক ঠিকাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় নেওয়া হচ্ছে আইএনটিটিইউসি সমর্থকদের। দুর্গাপুর, আসানসোল, বড়জোড়া, পুরুলিয়ায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, এমন অভিযোগ তুলল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ।
সোমবার দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ডিওয়াইএফের রাজ্য সভাপতি আভাস রায়চৌধুরী জানান, এই সবের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দুর্গাপুরে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হবে। যোগ দেবেন বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের সদস্য-সমর্থকেরা। সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য নিরুপম সেন। আভাসবাবু আরও জানান, কারখানা বন্ধ হওয়ায় কাজ হারাচ্ছেন অনেকে। ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিটু সমর্থকদের। পাশাপাশি, নতুন কর্মসংস্থানের কোনও উদ্যোগ হচ্ছে না রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তিনি বলেন, “এ সবের প্রতিবাদে ডিওয়াইএফ রাস্তায় নেমে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তবে যে বিষয় নিয়ে সিটুর আন্দোলনে নামা উচিত, তা নিয়ে ডিওয়াইএফ রাস্তায় নেমেছে বলে কটাক্ষ করেছে আইএনটিটিইউসি। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বর্তমান রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নথিবদ্ধ সব শ্রমিক সংগঠনের কথাই শুনবে শ্রম দফতর। তাঁর মন্তব্য, “আসলে সিটুর এখন এমন অবস্থা, সেই নিয়মের সুবিধা নেওয়ার মতো জায়গায় তারা নেই। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে তাদের যুব সংগঠনকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।” তাঁর দাবি, কোনও কারখানায় বেআইনি ভাবে এক জন শ্রমিককেও ছাঁটাই করা হয়নি। বেছে বেছে সিটুর লোকেদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও একেবারে ভিত্তিহীন বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “কোন কোন কারখানায় সিটুর কোন কোন সমর্থককে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ যোগাযোগ করলে আইএনটিটিইউসি-ই তার সমাধানে এগিয়ে যাবে।’’
আভাসবাবুর যদিও পাল্টা দাবি, সিটু কী ভাবে আন্দোলন করবে, তা তাদের নেতৃত্বই ঠিক করবেন। কিন্তু ছাত্র-যুবদের স্বার্থ দেখতেই তাঁরা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তীরও অভিযোগ, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সব থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন যুবরাই। শ্রমিক সংগঠন হিসেবে সিটু তার মতো করে আন্দোলন পরিচালনা করছে। যুবরা এগিয়ে আসায় সেই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।” |