নদীতে জল এখনও কমেনি। ফলে, হাতির দলকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন দফতর। ১০ দিন পরেও কলাইকুণ্ডা ছাড়েনি দলমা থেকে আসা হাতির দল। গত ১১ অক্টোবর মেদিনীপুরের দিক থেকে কংসাবতী পেরিয়ে খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জে ঢোকে ১২০টি হাতির পাল। ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কংসাবতী ও সুবর্ণরেখার জল বাড়তে থাকে। তার উপর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় নদী দু’টি ফুলেফেঁপে ওঠে। ফলে, হাতিগুলি আর বেরোতে পারেনি। ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন বালিভাসা পর্যন্ত গিয়েও ফিরে আসছে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলমা থেকে আসা হাতির দল সাধারণত কলাইকুণ্ডা হয়ে নয়াগ্রামের দিকে চলে যায়। কিন্তু এ বার নদীতে জল বাড়তে থাকায় শাবকদের নিয়ে ওই পথে যাওয়ার ঝুঁকি হাতিরা নেয়নি বলে মনে করছে বন দফতর। হাতিগুলি এখন কলাইকুণ্ডার জঙ্গল লাগোয়া জেঠিয়া, নিশ্চিন্দা, শঙ্করবনি ইত্যাদি গ্রামে ঘুরপাক খাচ্ছে। অষ্টমীর রাতে একটি হস্তিশাবক ট্রেনের ধাক্কায় মারাও গিয়েছে। আর একটি হস্তিনী অসুস্থ হয়ে দলছুট হয়ে পড়ে। তার চিকিসা চলছে। হাতির দল তাণ্ডবও চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫০ বিঘে জমির ফসল নষ্ট করেছিল হাতিগুলি। রবিবার তা বেড়ে প্রায় ২৫০ বিঘেয় দাঁড়িয়েছে। হাতির তাণ্ডবে প্রায় ২০টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় হাতির দল এ বার এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে বলে মনে করছে বন দফতর। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। জলের স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ওরা ঝুঁকি নিচ্ছে না। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টাবে।”
|
দু’শোরও বেশি বাড়ি ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে দাবানলের গ্রাসে। তবু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা দেখছে না অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের প্রশাসন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, রবিবার নিউ সাউথ ওয়েলসে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে প্রশাসন। |
আগামী তিরিশ দিন অন্তত এই অবস্থা বলবৎ থাকার কথা। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিডনির পশ্চিমে ‘ব্লু মাউন্টেন’ এই দাবানলে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া, মাউন্ট ভিক্টোরিয়া এবং স্প্রিংউডের দুই দাবানলও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। আশঙ্কা, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনটি দাবানল এক হয়ে একটি বড় অগ্নিকুণ্ড তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিডনিও বিপদের আওতায় চলে আসবে। রবিবার দিনভর সিডনির আকাশে ছিল কালো ধোঁয়া আর ছাই। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রাও। |