পুজোর ঠিক আগে মহাকরণ থেকে রাজ্যের প্রধান সচিবালয় সরানো হয়েছিল হাওড়ার মন্দিরতলার ‘নবান্ন’তে। টানা ১০ দিন পুজোর ছুটির পরে কাল, সোমবার সেখানে পুরোদমে সরকারি কাজকর্ম শুরু হতে চলেছে। নবান্নর সামগ্রিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখতে শনিবার দুপুরে সেখানে বৈঠকে বসেন পুলিশকর্তারা।
লালবাজার ও হাওড়া পুলিশের কর্তাদের এই সমন্বয় বৈঠকে বসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে। ছিলেন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা অধিকর্তা বীরেন্দ্রও। বৈঠকের পর সুরজিৎবাবু বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কর্মীদের যাতায়াত, ওই তল্লাটে সুষ্ঠু যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।” |
প্রশাসনিক মহলের খবর, কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া পুলিশের মধ্যে কাজের সমন্বয় এবং কে কোন কাজটা করবে, তা নিয়ে যেমন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, তেমনই কথা হয়েছে গত দু’সপ্তাহের অভিজ্ঞতায় যে-সব খামতি চোখে পড়েছে, তা শুধরে ফেলা নিয়ে। বিবাদী বাগে মহাকরণের সামনে যে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারত না। দেখা গিয়েছে, এখন নবান্ন-র সামনে যে কোনও ধরনের যানবাহন চলে আসতে পারে। সাধারণ পথচারী ও সরকারি কর্মীদের অসুবিধে না-ঘটিয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা ভেবে দেখছে পুলিশ।
পুজোর ছুটির আগে নবান্ন-য় অফিস চালু হওয়ার পর প্রথম প্রথম লিফ্টের ব্যাপারে যে-সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা দূর করতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পূর্ত দফতর। নবান্ন বহুতল হলেও তার লিফ্ট ধীর গতির। যে কারণে প্রথম কাজের দিনেই লিফ্টের দরজার সামনে কর্মীদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ভিআইপি লিফ্ট সমেত নবান্ন-র মোট পাঁচটি লিফ্ট যাতে আরও দ্রুত গতিতে ওঠানামা করে, সে-জন্য উন্নত যন্ত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে জার্মানির এক সংস্থাকে। তারা সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছে। নতুন যন্ত্র লাগানো হলে লিফ্ট দ্রুত চলবে। নভেম্বর থেকে নতুন মেশিনগুলি লাগানোর কাজ শুরু হবে। প্রতিটি লিফ্টে মেশিন জুড়তে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। কাজ চলার সময় লিফ্ট বন্ধ রাখতে হবে। তাই একটি-একটি করে লিফ্টের সংস্কার চলবে। বাড়িটি যেহেতু এইচআরবিসি-র তৈরি করা, তাই কাজের দেখভাল করবে ওই সংস্থাই। |