|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
লাল টুকটুকে বন্ধু |
আমাদের বারান্দায় টেবিলের উপর একটা অ্যাকোয়ারিয়াম আছে। তার মধ্যে একটা লাল টুকটুকে মাছ আছে, মাছটি সব সময় ঘুরে বেড়ায়। প্রথম দিকে অ্যাকোয়ারিয়ামে অনেক মাছ ছিল। কোনও কারণে একটা একটা করে সব মাছ মরে গেল। তখন থেকে ওই মাছটা একলা হয়ে গেল। রোজ মাছটাকে দেখি। আস্তে আস্তে মাছটা আমার বন্ধু হয়ে গেল। দেখতাম, খাবার দেওয়ার সময় হলেই সে খাবারের জায়গাটাতে চলে আসে। জলে অক্সিজেন জোগান দেওয়ার মোটর চালালে সে খুব আনন্দে ছটফট করে ওঠে। মাঝে মাঝে দেখতাম, পাথরের মধ্যে কী যেন খুঁজছে। দাদুর কাছে জানলাম মাছটা পাথরে জমে থাকা শ্যাওলা খায়। হঠাৎ এক দিন স্কুল থেকে ফিরে অ্যাকোয়ারিয়ামের সামনে গিয়ে দেখি মাছটা নিশ্চুপ হয়ে পাথরের উপর স্থির হয়ে আছে। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল, আমিও দুখী মনে বসে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর কী মনে হল মোটরটা চালিয়ে দিলাম। দেখি মাছটা নড়ে উঠল। তার পর আবার ঘুরে বেড়াতে লাগল। বুঝলাম আমাদের মতো ওদের শরীরেও ক্লান্তি আসে। ক্লান্ত হয়ে মাছটা চুপচাপ ছিল। এর পর এক দিন ডিম ফুটে মাছটার ছোট ছোট লাল রঙের অনেক বাচ্ছা হল। এখন সে ছানাপোনা নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়।
অনিকেত চৌধুরী। পঞ্চম শ্রেণি, বাদকুল্লা ইউনাইটেড আকাদেমি, নদিয়া |
|
|
দৃষ্টিগোচর |
আমাদের ফ্ল্যাটের পাঁচ তলার ছাদে প্রতিদিন বিকেলে আমি একা একা ঘুরি। হঠাৎই এক দিন দেখি যে বাঁশে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়ার জন্য দড়ি টাঙানো হয়েছে তাতে দুটো ছোট গর্ত। সন্ধে যখন হবে হবে, সেই সময় হঠাৎই দেখি একটি ছোট্ট সুন্দর পাখি বাঁশটির ওপর বসল। খানিক পরে পাখিটি ওই বাঁশের নীচের গর্ত দিয়ে ঝটপট করে ভেতরে ঢুকে ওই গর্ত দিয়ে মাথাটা বার করে চারিদিক দেখতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে মাথাটা ঢুকিয়ে নিল। আমি এখন প্রতিদিনই ওকে দেখার আশায় ছাদে উঠি।
দময়ন্তী ভট্টাচার্য। সপ্তম শ্রেণি, গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|