দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার সল্টলেক পুলিশ কমিশনারেটে ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বেতন না দেওয়া কিংবা প্রতারণা সংক্রান্ত মূল অভিযোগগুলি থেকে নজর ঘোরাতে পরিকল্পনামাফিক শুধুমাত্র সারদার মিডিয়া ব্যবসা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে প্রশাসন। সোমবার দিল্লিতে ফের তাঁকে জেরা করবে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক। এ দিন বেলা ১টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিধাননগরের গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। এই নিয়ে আট বার তাঁকে ডেকে পাঠালেন গোয়েন্দারা। মুখে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও এ দিন তিনি ক্ষোভ চেপে রাখেননি। কুণাল বলেন, “মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে আমিই একমাত্র জীবিত প্রাণী, যে সুদীপ্ত সেনকে জানে বা চেনে!” পুজোর মধ্যে ষষ্ঠীর দিনও তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছিলেন সল্টলেকের গোয়েন্দারা। পুজো শেষ হতেই দিল্লিতে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক থেকে সাংসদকে তলব করা হয়েছে। সেখানে পর পর দু’দিনই জেরা চলে। কুণালবাবু জানান, তিনি আজ, রবিবার ফের দিল্লি যাচ্ছেন। সোমবার সেখানে তাঁকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
|
২০১২ সালে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর পুত্রকে অপহরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে জেল খেটেছিল এক প্রোমোটার। প্রতারণার অভিযোগে এ বার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল সেই একই ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে লেক থানা এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা রেখা চক্রবর্তী গরফা থানায় দীপক সিংহ নামে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ২০১১ সালে গরফা থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য তিনি দীপককে কয়েক লক্ষ টাকা দেন। বছর গড়িয়ে গেলেও সেই ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাননি রেখাদেবী। অভিযোগের ভিত্তিতে ফেরার দীপকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা থেকে ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন আদালতে তোলা হলে বিচারক দীপককে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
সারা দিনে তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল শহরে। কোনও ঘটনাতেই বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি। শনিবার সকালে বৌবাজারের খয়রু প্লেসে আগুন লাগলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পরে শেক্সপিয়র সরণির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। তবে দমকল পৌঁছনোর আগেই ব্যাঙ্ককর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। সন্ধ্যায় বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি দোকানে আগুন লেগে ধোঁওয়ায় পুরো বাড়ি ঢেকে যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে দোকানের উপরের আবাসনে আটক আবাসিকদের উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে দমকল কর্তাদের অনুমান, তিনটি ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এই বিপত্তি। |