মহাকাশ গবেষণায় বিরল নজির গড়লেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী। কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স’ (আইসিএসপি)-এর গবেষক সব্যসাচী পাল এবং পুণের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ (এনসিআরএ)-এর গবেষক শুভাশিস রায়ের কৃতিত্ব তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন এক ‘তরুণ’ সুপারনোভা।
সাধারণত বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমেই শেষ হয় সূর্যের থেকে ভারী নক্ষত্রগুলির জীবন। বিজ্ঞানের ভাষায় এই ঘটনাকে বলা হয় সুপারনোভা। এই বিস্ফোরণের জেরে সেকেন্ডে কয়েক হাজার কিলোমিটার বেগে নির্গত হয় তরঙ্গ। যা যুগ যুগ ধরে ছড়িয়ে যায় মহাকাশে।
নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু নিয়ে মানুষের মনে এমনিতেই কৌতূহল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে হিসেবমতো কোটি কোটি বছর নেহাতই নগণ্য সময়। দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর মুন্সিয়ানা হল, তাঁরা যে সুপারনোভাটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটির বয়স ‘মাত্র’ কয়েকশো বছর। অর্থাৎ, টাটকাই বলা চলে সেটিকে। এবং গত চারশো বছরের ইতিহাসে এমন তরুণ সুপারনোভার সংখ্যা খুবই কম।
পুণে থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে খোদাড়-এ প্রায় এক যুগ ধরে গবেষণা করেছেন সব্যসাচী-শুভাশিস। সেখানেই রয়েছে তাঁদের ‘জায়ান্ট মিটারওয়েভ রেডিও টেলিস্কোপ’। এই সুপারনোভাটির বয়স আসলে কত, সেটাই এখন খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন দুই বাঙালি। গত সেপ্টেম্বরে ‘দি অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণা।
|
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মঙ্গলযান যাত্রার সময়সূচি এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। এর আগে জানানো হয়েছিল, কবে মঙ্গলের উদ্দেশে এই ভারতীয় যান রওনা হবে তার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে ১৮ অক্টোবর। কিন্তু বিশাখাপত্তনম এলাকায় একের পর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেখে শনিবার বৈঠক বাতিল করা হয়। ফের বৈঠক হবে ২২ অক্টোবর। সে দিনই মঙ্গলযান যাত্রার কর্মসূচি ঠিক করা হবে। |