ডায়েরিয়ায় (আন্ত্রিক) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়। একজনের নাম কালীপদ সর্দার (৫২)। বাড়ি রাজদহে। অন্যজনের নাম সম্বারী সিংহ (৬)। বাড়ি কুশমুড়ায়। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরে শোরগোল পড়েছে। জানা গিয়েছে, বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জ্বরে ভুগছেন। এঁদের মধ্যে ১৯ জনকে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই চিকিৎসাধীন। কালীপদবাবু এবং সম্বারীকেও শুরুতে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারিরীক পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত, জলমগ্ন এলাকাতে এই রোগ ছড়ায়। মাস খানেক আগে জেলার একের পর এক এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন ডেঙ্গি, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুও হয়। সেই সময় অতিবৃষ্টির পরপরই বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়েরিয়া, অজানা জ্বরের প্রকোপ ছড়ানোর খবর আসতে শুরু করে। সম্প্রতিও জেলায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। জলাধারের ছাড়া জলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। ফলে, জল নামতে শুরু করলে এ বারও এই সব এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছেই। ইতিমধ্যে কেশিয়াড়ি, দাঁতন-১ ব্লকের কিছু এলাকায় কয়েকজন জ্বরে ভুগছেন। এখনও পর্যন্ত সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহাতেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, দূষিত জল থেকে রোগ ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “এই পরিস্থিতিতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকায় জ্বরের প্রকোপ চলছে। আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম রয়েছে। প্রয়োজনে জেলা থেকেও মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে। উদ্বেগের কিছু নেই।” ওই আধিকারিকের কথায়, “বিভিন্ন এলাকা থেকে জল নামছে। জ্বর ছড়াতে পারে। আমরা সতর্ক আছি। গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হচ্ছে।” |