|
|
|
|
পাহাড়েও এ বার শাখা খুলল তৃণমূলের ছাত্র, কর্মী সংগঠন |
রেজা প্রধান • দার্জিলিং |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং সফরে প্রাক্কালে পাহাড়ে তৃণমূলের দুটি শাখা সংগঠনে যোগ দিলেন অন্তত ৫৫০ জন। বৃহস্পতিবার কার্শিয়াঙের একটি হোটেলের হলঘরে ঘরোয়া সভা করে তৃণমূলের তরফে প্রথমে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) শাখার সূচনা ঘোষণা করা হয়। সেখানে অন্তত ৫০ জন ছাত্র সামিল হন। এঁরা এলাকার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়া ও প্রাক্তন ছাত্র। একই সঙ্গে, এ দিন তৃণমূলের তরফে পাহাড়ের অস্থায়ী কর্মচারিদের দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান কর্মচারি সংগঠন (ডিএইচকেএস)। তৃণমূলের ওই সংগঠনে এদিন ৫০০জন যোগ দেন। তাঁরা সকলেই জিটিএ-এর অস্থায়ী কর্মী। পাহাড় তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক রাজেন মুখিয়া জানান, ডিকেএইচএস-এর কেন্দ্রীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এই কর্মিসংগঠনে সামিল হওয়ার জন্য আরও অনেকে যোগাযোগ করছেন।
কিছুদিন আগে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাত্রদের আলাদা রাজ্যের দাবিতে সামিল হওয়ার ‘ফতোয়া’ দিলে পাহাড়ের তৃণমূল নেতারা সমালোচনায় সরব হন। এখন তৃণমূল পাহাড়ে ছাত্র সংগঠন গড়ছে কেন? পাহাড় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এন বি খাওয়াশ বলেন, “আমাদের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা হবে না। ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াবে আমাদের সদস্যরা।” রাজেন বলেন, “আগামী দিনে পাহাড়ের সব ব্লকেই টিএমসিপি-র শাখা গঠন করা হবে।”
এদিন যে অস্থায়ী সরকারি কর্মচারিরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা এতদিন মোর্চা প্রভাবিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তৃণমূল-অনুমোদিত ডিএইচকেএস-এর সভাপতি মনোনীত হয়েছেন দিলীপ সিংহ। তিনি বলেন, “আমরা মোর্চার সংগঠনে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য মোর্চা নেতাদের কেউ উদ্যোগী হননি। বরং নানা সময়ে আমাদের শুধু ব্যবহার করেছেন মোর্চা নেতারা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পাহাড়ের উন্নয়নে মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে। সে জন্য অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
কী বলছেন মোর্চা নেতারা? মোর্চা প্রভাবিত ‘জনমুক্তি অস্থায়ী কর্মচারি সমিতি’ থেকে অন্তত ৫০০ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আগেই খবর পেয়েছিলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। সে জন্য তিনি গত ৭ অক্টোবর কার্শিয়াঙে গিয়ে সভা করে ওই সদস্যদের দল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেন। তাঁদের চাকরিতে স্থায়ী করার চেষ্টা হচ্ছে বলে আশ্বাসও দেন গুরুঙ্গ। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। মোর্চার অস্থায়ী কর্মচারি সমিতির কার্শিয়াং শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সিংহ, কার্শিয়াঙের মুখপাত্র বিন্নানজয় গুরুঙ্গ সহ কয়েকশো সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
মোর্চার প্রচার সচিব তথা কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেছেন, “পাহাড়ে কিছু মানুষ তো তৃণমূলে যাবেনই। সে জন্য আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের সকলে তো আমাদের সমর্থক ছিলেন না।” |
|
|
|
|
|