শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিকে (বেসু) কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান আইআইইএসটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)-তে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে পাঁচ-ছ’বছর ধরে। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে রাজ্য সরকারের কাছে বেসু-র বিষয়ে কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠাল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গত সপ্তাহের গোড়ায় রাজ্যর কাছে এসেছে রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই চিঠি পাঠানোকে ‘সদর্থক পদক্ষেপ’ বলে মনে করছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের প্রক্রিয়া এ বার দ্রুত এগোবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বেসু-র পঠনপাঠন প্রক্রিয়া, পরিকাঠামো, ভর্তির পদ্ধতি, শূন্য শিক্ষক পদের সংখ্যা ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়েছে। বেসু-কে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, আধিকারিক, শিক্ষাকর্মীদের কোনও আপত্তি আছে কি না, তা-ও জেনে জানাতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং বেসু-র উপাচার্য অজয় রায়ের কাছে এ ব্যাপারে মতামত চেয়েছে রাজ্য। তাঁদের মত জানা গেলেই কেন্দ্রের চিঠির উত্তর দেবে রাজ্য।
বেসু-কে আইআইইএসটি-তে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয় বাম আমলে। কিন্তু নানা কারণে থমকে যায় সেই প্রক্রিয়া। সব জট কাটিয়ে এ বছর লোকসভার অধিবেশনে বিলটি পেশ হয়। সেটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে আছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা বিলটিকে সমর্থন করেছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।
আইআইইএসটি হলে বেসু পরিচালিত হবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) আইন দ্বারা। অজয়বাবু বলেন, “এনআইটি আইনে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণের কথা আছে। বেসু কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে গেলে সেখানেও যেন ওই নিয়ম কার্যকর হয়, আমরা সেটা চাই।” রাজ্যের কাছে যে রিপোর্ট পাঠাবেন, তাতে এই কথাটা জানাবেন। বৃহস্পতিবার অজয়বাবুর সঙ্গে বৈঠক করেন অভিজিৎবাবু। অভিজিৎবাবু ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক। বলেন, “উপাচার্যের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া হয়েছে। দু’টি রিপোর্টে যাতে কোনও বৈষম্য না থাকে, সে জন্য আলোচনা করলাম।”
পুজোর ছুটির পরে আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি দফতরগুলি খুলবে। দু’টি রিপোর্টই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জমা পড়বে সরকারের কাছে। |