রাজ্যের অন্য কিছু পুরসভার সঙ্গে নভেম্বর মাসে উপ-নির্বাচন হবে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর পুরসভার তিনটি ওয়ার্ডে। এই তিনটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় উপ-নির্বাচন উপলক্ষে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। সোমবার রঘুনাথপুরে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মহকুমাশাসক।
রঘুনাথপুরে বর্তমানে পুরসভা রয়েছে তৃণমূলের দখলে। পুরুলিয়াতেও একই চিত্র। রঘুনাথপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনই হয়নি। তিন বছর আগে নির্বাচনের আগের রাতে ওই ওয়ার্ডে গণ্ডগোল বাধায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশের বিরুদ্ধে অতি-সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচন হয়নি। ওই পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের কয়েক মাস পরে মৃত্যু হয় জয়ী প্রার্থী গোপাল বাগদির। গোপালবাবু প্রথমে নির্দল হিসাবে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রঘুনাথপুরের ওই দু’টি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের দাবি তুলেছিল বিরোধী সিপিএম। দলের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার উপস্থিতিতে ওই এলাকায় নির্বাচনের দাবিতে গণ-কনভেনশনও হয়। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায় বলেন, “ওই দু’টি ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর না থাকায় এলাকার উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। সেই কারণেই আমরা দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলেছিলাম। দু’টি ওয়ার্ডেই আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।” পুরপ্রধান মদন বরাট বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ড কমিটি গড়ে পুরপ্রধানের তত্ত্বাবধানে দু’টি ওয়ার্ডেই উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”
পুরুলিয়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গীতা মণ্ডল পদত্যাগ করায় সেখানে উপ-নির্বাচন হচ্ছে। গীতাদেবী প্রথমে কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ঘটনা হল, দু’টি পুরসভাতেই তৃণমূলের যা আসন সংখ্যা, তাতে উপ-নির্বাচনে তিনটি ওয়ার্ডে বিরোধীরা জিতলেও পুরসভায় ক্ষমতা বদলের সম্ভবনা কার্যত নেই বললেই চলে। |