প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে পানীয় জল সরবরাহের পাম্প বিকল হওয়ায় দশমী থেকে টানা চার দিন ধরে নির্জলা পুরুলিয়া শহর। উৎসবের মরশুমে পানীয় জল সরবরাহে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে তাই ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পথে নামলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ও সিপিএম পৃথক ভাবে শহরের দু’টি মোড়ে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায়। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন দু’টি রাজনৈতিক দলের এই রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিতে বাজার করতে বেরিয়ে নাকাল হলেন পুরবাসী। |
বেলা পৌনে ১১টায় হাটমোড়ে জলের হাঁড়ি ও বালতি নিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। পাম্প মেরামতির কাজে গাফিলতির অভিযোগ এনে পুরপ্রধানের পদত্যাগও দাবি করে তারা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিভাস দাস বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাম্প বিকল হতেই পারে, কিন্তু তা মেরামত করতে চার দিন লাগবে কেন? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জল সরবরাহ না হলে পুরুলিয়া শহরে বন্ধের ডাক দেওয়া হবে।”
অন্য দিকে, এ দিন শহরের পোস্টঅফিস মোড়ে বেলা সওয়া ১১টা থেকে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম নেতা-কর্মীরা। তাঁদের গলাতেও ছিল পুরসভার বিরুদ্ধে পাম্প মেরামতিতে গাফিলতির অভিযোগ। দলের পুরুলিয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক কৌশিক মজুমদার বলেন, “আমরা পুরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু তা হয়নি। মেরামতির কাজে যতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, ততটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।” তাঁদের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে পরিষেবা চালু না হলে তাঁরা শহরের সব ওয়ার্ডের রাস্তা অবরোধ করবেন। সিপিএম পুরপ্রধানের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছে।
|
তবে কবে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে, সে ব্যাপারে এ দিনও পুরকর্তৃপক্ষ কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, “জল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্মীরা দিন-রাত কাজ করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে সবাই অসহায়।” তিনি জানান, বিরোধীরা এ নিয়ে পদত্যাগ দাবি করতেই পারেন। তবে রাজনীতি না করে তার আগে পাম্পগুলি মেরামত করার জন্য কী করা হচ্ছে তা দেখে যাওয়া দরকার।
|
পথে নেমে বিক্ষোভ সিপিএম, কংগ্রেসের। —নিজস্ব চিত্র। |