ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হল তেরো বছরের এক নাবালিকাকে। বুধবার ফরাক্কার বেনিয়াগ্রামের আছুয়াপাড়ার ওই ঘটনার পর টিঙ্কু সেখ নামে প্রতিবেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈদের দিনের ওই ঘটনায় এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষ ধৃতের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। ধৃতের দাদা সাফিরুদ্দিন সেখ বলেন, “ এ রকম ভাই থাকার থেকে না থাকা অনেক ভাল। মেয়ের বয়সী এক নাবালিকাকে যেভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাতে ওর ফাঁসি হলেও কম সাজা হবে।” প্রতিবেশিরা জানান, এলাকায় কুখ্যাত সমাজবিরোধী হিসাবে পরিচিত টিঙ্কু। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সে আবার বিয়ে করে। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। বছর খানেক আগে গ্রামেরই এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে টিঙ্কু জেলেও গিয়েছিল। সে মামলা এখনও চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ সেখ বলেন, “দিল্লির ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি হয়েছে। কামদুনিতেও ফাঁসির দাবি উঠেছে। আমারাও চাই এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আছুয়াপাড়া গ্রামের ওই নাবালিকার পরিবারের সকলেই বিড়ি বাঁধেন। বুধবার ঈদের দিন বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই বাইরে ছিলেন। ওই নাবালিকার মা বলেন, “আমি আর মেয়ে বাড়িতেই ছিলাম। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ টিঙ্কু আমাদের বাড়িতে আসে। মেয়েকে দু’ টাকা দিয়ে বলে হাটের দোকান থেকে বিড়ি কিনে আনতে। মেয়ে ঘর থেকে বেরোবার পরেই সেও ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর মেয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।” পাশেই টিঙ্কুর বাড়িতে ওই নাবালিকার খোঁজ করতে গেলে তার কথাবার্তায় সন্দেহ হয় গ্রামের মানুষের। তারপর তার বাড়িতেই মেয়েটির সালোয়ার দেখতে পান লোকজন। ততক্ষণে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে টিঙ্কু। রাত পৌনে বারোটা নাগাদ টিঙ্কুর বাড়ির উঠোনের পিছনে অন্ধকার গলি থেকে ওই নাবালিকার মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতেই টিঙ্কুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|