দেশভাগের স্মৃতি আঁকড়েই লক্ষ্মীর আরাধনা চাকদহে
দীর্ঘ ছয় দশক আগে ফেলে আসা পূর্ববঙ্গের স্মৃতি আঁকড়ে এখনও জমজমাট লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন চাকদহের বল্লভপুর ও তার আশপাশের মহল্লার লোকজন।
দেশভাগের আগে বাংলাদেশের ঢাকা জেলার পূর্বাইল থানার জয়পুর গ্রামের ঘরে ঘরে হত মা লক্ষ্মীর আরাধনা। তারপর স্বাধীনতার সময়ে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে এ বাংলায় চলে আসেন মানুষগুলি। প্রথম কয়েক বছর সংগ্রাম করে কোনওক্রমে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। পায়ের তলার মাটি একটু শক্ত হতেই ১৯৫০ সাল থেকেই শুরু হয় লক্ষ্মীপুজো। চাকদহের হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুরে প্রথমে পুজো ও তাকে কেন্দ্র করে বসত একদিনের মেলা বসত। পরে মেলার বিস্তৃত হয়েছে। এখন দরাপপুর, চৌগাছা এবং নেতাজীবাজারেও মেলা বসে। একদিনের এই মেলার রেশ কাটতে লেগে যায় আরও বেশ কয়েকটা দিন। ছোটবড় মিলিয়ে এ তল্লাটে প্রায় শ’তিনেক পুজো হয়। বাড়ির পুজোর পাশাপাশি অনেক ক্লাবেরও উদ্যোগে পুজো হয়। আগামী সোমবার লক্ষ্মীপুরে। তার দিন দুয়েক আগে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা পুজো কর্তাদের। মেলার উদ্যোক্তাদের। পুজো উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। চোখধাঁধানো আলোকসজ্জার কাজ চলছে জোরকদমে। পুজোর দিনে বিভিন্ন ক্লাব নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ৮০ ফুট লম্বা এবং ৬০ ফুট চওড়া মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হচ্ছে দরাপপুর মিলন সংঘের। কাপড়ের তৈরি প্যাণ্ডেলের গায়ে থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের হরেকরকমের কারুকার্য। ক্লাব সম্পাদক বিপুল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের পুজা এবার ৩৫ বছরে পা দিল।” তাঁর দাবি, “আগে বাড়িতে বাড়িতে পুজো হত। ক্লাব পুজোর প্রচলন আমাদের হাত ধরেই।” ২৩ বছরে পা রেখেছে হরিআঁখি অগ্রদূত সংঘের পুজো। ক্লাব সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, “মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে লক্ষ্মীর আগমনের এক দৃশ্য। পুজো উপলক্ষে স্থানীয় গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া ছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বল্লভপুর পুজো কমিটির সদস্য তথা হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কংগ্রেসের অনুপ সরকার বলেন, “এলাকার সিংহভাগ মানুষই দেশভাগের সময় বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এখানে দুর্গাপুজোর থেকে লক্ষ্মীপুজো বেশি ধুমধাম করে হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.