আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম টেস্টে সাত উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। দেশে নিরাপত্তার খাতিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের অন্যতম ‘হোম’ এখন আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম। সেখানকার পিচে সইদ আজমলের (৪-৭৪) অফস্পিন আর বাঁ হাতি জুনেইদ খানের (৩-৫৭) পেস সামলাতে না পেরে স্মিথ-আমলা-কালিসরা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৩২ রানে অল আউট হন। প্রথম ইনিংসেও দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৯) আড়াইশো পেরোতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ৪৪২ তোলা পাকিস্তানের চতুর্থ দিনই টেস্ট জেতার জন্য মাত্র ৩৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু স্টেইন-ফিল্যান্ডাররা তার মধ্যেই মিসবা-উল-হকের দলের তিন উইকেট ফেলে দেন। পাকিস্তান করে ৪৫-৩। ম্যাচের সেরা প্রথম ইনিংসে বড় সেঞ্চুরি (১৪৬) পাওয়া পাক ওপেনার খুররাম মনজুর। দুবাইয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুরু ২৩ অক্টোবর। |
পাক ড্রেসিংরুমে খুশির হাওয়া। বৃহস্পতিবার। ছবি: এএফপি। |
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২ টেস্টে এটা পাকিস্তানের চতুর্থ জয়। তবে তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ, গ্রেম স্মিথের দলের টানা ১৫ টেস্ট ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর প্রথম পরাজয়। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে শেষ হেরেছিল ২০১১ ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ডারবানে। এ দিন এবি ডে’ভিলিয়ার্স দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রান না করলে কালিসরা হয়তো ইনিংসে হারতেন। আবার দিনের শেষে এ-ও মনে হতে পারে যে, ঝুলিতে আর কিছু বেশি রান থাকলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা পাল্টা চাপে ফেলে দিত পাকিস্তানকে। কারণ জেতার জন্য ৩৯ রান তুলতে গিয়েই পাকিস্তান বেকায়দায় পড়ে। শেষ পর্যন্ত দলের দুই সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাটসম্যান ইউনিস খান (৯) ও মিসবা (২৮) সমর্থকদের টেনশন দূর করেন। অধিনায়ক মিসবার উইনিং স্ট্রোকটি ছিল একটা বিশাল ছক্কা। |