ঠিক আর এক মাস বাকি সচিন তেন্ডুলকরের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়া থেকে। সচিনের ২০০তম তথা অন্তিম টেস্ট ম্যাচের শেষ দিন আগামী ১৮ নভেম্বর। তার ঠিক তিরিশ দিন আগে সচিনের (১৫৮৩৭) পরেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানকারী রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮) বাইশ গজের বহু পুরনো একটি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে তেন্ডুলকরকে একহাত নিলেন! যা ক্রিকেটমহলকে অবাক করলেও হয়তো আশ্চর্যের নয়!
দু’হাজার আটের সিডনি টেস্টের সেই সাইমন্ডস-হরভজন তীব্র বাদানুবাদ, ক্রিকেট মাঠে যেটা ‘মাঙ্কিগেট’ (সাইমন্ডসের অভিযোগ ছিল, হরভজন তাঁকে বাঁদর বলেছিলেন) হিসেবে সুবিদিত, সেই প্রসঙ্গ পন্টিং তাঁর নতুন বই ‘দ্য ক্লোজ অব প্লে’-তে ফের তুলেছেন। এবং শুধু তাতেই ক্ষান্তি না দিয়ে নিজের বইতে ভারতের বিরুদ্ধে সেই সিরিজের অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক পন্টিং রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন ‘মাঙ্কিগেট’ কেলেঙ্কারিতে সচিনের ভূমিকা নিয়ে! |
শুধু বন্ধু নয়। আছে বৈরিতাও।
|
ঘটনার পাঁচ বছর পরেও পন্টিং দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় সচিনের বিবৃতিতে তিনি যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছিলেন। এবং সে দিন ম্যাচ রেফারির কাছে ভারতীয় দলের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাটসম্যানের দেওয়া বিবৃতি হরভজনকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত ওই টেস্টের ম্যাচ রেফারি মাইক প্রোক্টর বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য প্রথমে হরভজনকে তিন টেস্ট সাসপেন্ড করলেও ভারতীয় স্পিনারের আবেদনের পরে তাঁর নির্বাসন উঠে গিয়েছিল।
পন্টিং তাঁর নবতম বইতে লিখেছেন, “আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনি কেন সে দিন সচিন ম্যাচ রেফারি প্রোক্টরের সামনে মুখ খোলেনি। কেন একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতেও সচিন ম্যাচ রেফারিকে হরভজনের বলা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়ে কিছু বলেনি সেটা এখনও আমার মাথায় ঢোকেনি। অথচ ক্রিকেট মাঠের ওই ঘটনায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরার পর্যন্ত উপক্রম ঘটেছিল সেই সময়।” ওই ঘটনা নিয়ে পন্টিং আরও লিখেছেন, “মাঙ্কিগেট সংক্রান্ত সব ঘটনার পর আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে, আমাকে এর পর থেকে মাঠের বাইরের রাজনীতি নিয়ে আরও বেশি ওয়াকিবহাল হতে হবে।” সচিনকে খোঁচা দিয়ে পন্টিংয়ের মন্তব্য, “ভারতের একবিংশ শতাব্দীর মহাপরাক্রমশালী ক্রিকেটারটিকে ধাক্কা দেওয়া হয়তো বিরাট কঠিন। কিন্তু আমাকে অবাক করেছিল, সেই সময় ‘মাঙ্কিগেট’ নিয়ে আমাদের ন্যায়ের জন্য লড়াইকে সুবিধে আদায় করার লক্ষ্য ভেবে অনেকেই ভুল করায়!” |