মুখ খুললেন জ্বালা গাট্টা।
দিল্লি হাইকোর্টে ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (বাই) বিরুদ্ধে আইনি লড়াই জেতার পর নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জ্বালা সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও অবস্থাতেই আইবিএলের ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। বলেছেন, “আমার অপরাধ যদি আজীবন নির্বাসনে পাঠানোর মতোই গুরুতর হবে, তা হলে কেন বলা হচ্ছে যে বাই প্রেসিডেন্ট অখিলেশ দাশগুপ্তের কাছে ক্ষমা চাইলেই আমাকে মুক্তি দেওয়া হবে? আমি ক্ষমা চাইব না।”
এ দিন বাই কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালা এক হাত নিলেন জাতীয় কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দকেও। পঁচিশ বছর বয়সের পরে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা নিজের সেরাটা দিতে পারেন না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন গোপীচন্দ। তিরিশ বছরের জ্বালার দাবি, নাম না করে তাঁকেই খোঁচা দেওয়া হয়েছে। পাল্টা দিয়ে বলেছেন, “গোপীচন্দ নিজে কিন্তু অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন উনত্রিশ বছর বয়সে। সেটা কি ভুলে গিয়েছেন?” প্রাক্তন দুই কোচ বিমল কুমার ও সইদ মহম্মদ আরিফ বরাবর তাঁর পাশে থাকলেও জাতীয় কোচ হয়ে গোপীচন্দ কয়েক বার তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ায় বাই কর্তাদের সমর্থন করেন বলেও অভিযোগ জ্বালার।
আজীবন নির্বাসনের সিদ্ধান্তে তিনি মোটেই অবাক হননি, “সেই ২০০৬ থেকেই বাই কর্তারা আমাকে সহ্য করতে পারে না। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। বারবার হেনস্থা করা হয়। তাই মোটেই অবাক হইনি।” অবশ্য এতদিন মুখ বুজে থাকলেও এ বার তিনি আদালতে যেতে বাধ্য হয়েছেন, জানিয়েছেন জ্বালা। তবে দেশকে একাধিক আন্তর্জাতিক পদক এনে দেওয়ার পরে এখন কোর্ট অর্ডার দেখিয়ে তাঁকে টুর্নামেন্টের সংগঠকদের খেলতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে হচ্ছে। এটা কষ্ট দিচ্ছে তাঁকে। |