ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতিতে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটল শরদ পওয়ারের। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসাবে।
বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডের মনোনয়ন বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমসিএ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে গেলেন পওয়ার। শুক্রবার এমসিএ-র বৈঠক থাকলেও এ দিনই সরকারি ভাবে পওয়ারের নাম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করে দেওয়া হল। পওয়ার ফিরে আসা মানেই যে বোর্ড রাজনীতির সমীকরণটা বদলাতে শুরু করবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এ দিন ললিত মোদীর টুইট থেকে। মোদী লিখেছেন, “ভাল খবর যখন আসতে থাকে, তখন আসতেই থাকে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসাবে গ্রেট মরাঠা শরদ পওয়ারকে ফিরতে দেখে দারুণ লাগছে। যুদ্ধটা শুরু হল...।”
শ্রীনিবাসনের জন্য দিনটা ভাল খবর না আনলেও, মোদীর জন্য কিন্তু এনেছে। পওয়ার ক্ষমতায় আসার আগেই মোদী জেনে যান, বোর্ডের অনুমোদিত সংস্থার কোনও কাজে তিনি জড়িত থাকতে পারবেন না বলে বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। আদালত আরও বলেছে, মোদীর রিট পিটিশনের শুনানি হবে আগামী মাসে রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনের আগে। যার অর্থ, মোদীর সামনে নির্বাচনে লড়ার একটা সুযোগ এলেও আসতে পারে।
পওয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়ানো মুণ্ডের মনোনয়ন প্রথমেই বাতিল করেছিলেন এমসিএ-র নির্বাচনী অফিসার। কারণ ছিল, মুণ্ডে মুম্বইয়ের স্থায়ী বাসিন্দা নন। এমসিএ নির্বাচন লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যা প্রধান বিচার্য। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিন এমসিএ-র বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রবি সবন্তের কাছে আবেদন করেছিলেন মুণ্ডে। কিন্তু সেই আবেদনও বাতিল হয়ে যায়। সবন্ত বলেন, “মিস্টার মুণ্ডের মুম্বইয়ে বাড়ি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি মুম্বইয়ের স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার তালিকায় নাম থাকলে তবেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা হিসাবে গণ্য করা হবে কাউকে।” মুণ্ডে অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ব্যাপারটা এত সহজে ছেড়ে দেবেন না। গত কালই মুণ্ডে বলে রেখেছিলেন, তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে হাইকোর্টে যেতে পারেন তিনি। |