ঢিলেঢালা নজরদারির জন্যেই পাহাড় ও ডুয়ার্সের জঙ্গলে আন্তঃ রাজ্য চোরাশিকার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মেনে নিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বৃহস্পতিবার কালিম্পঙের বুড়িখোলার জঙ্গলে গিয়ে এ কথা জানান বনমন্ত্রী। সম্প্রতি ওই এলাকার জঙ্গলে হাতি মেরে দাঁত কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এদিন বনমন্ত্রী বলেন, “নজরদারিতে নানা সমস্যা রয়েছে বলেই আন্তঃ রাজ্য চোরাশিকার চক্র পাহাড় ও ডুয়ার্সের জঙ্গলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বন অফিসার-কর্মীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি, নজরদারির পরিকাঠামো উন্নত করার উপরে জোর দিয়েছেন বনমন্ত্রী। তিনি জানান, কালিম্পঙের ঘন জঙ্গলে নজরদারির জন্য কুনকি হাতি রাখা হবে। সেই সঙ্গে অফিসার ও কর্মীদের শূন্য পদে নিয়োগের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
পুজোর মধ্যে কালিম্পঙের জঙ্গলে দুটি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। একটি হাতি কালিম্পঙ বনবিভাগের বুড়িখোলা বিটের জঙ্গলে চোরাশিকারীদের গুলিতে মারা যায়। গত ৯ অক্টোবর সেই হাতিটির দেহের হদিশ পান বনকর্মীরা। হাতিটির দাঁত সহ মাথাও কেটে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে গত ১১অক্টোবর সপ্তমী পুজোর দিন ভোরে কালিম্পঙ বনবিভাগের মংপং এর কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় আরও একটি হাতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিটির যেখানে মৃত্যু হয়েছিল সেই বুড়িখোলা বিটের জঙ্গলে যান বনমন্ত্রী। বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল অনুপ সাহা সেখানে ছিলেন। বনমন্ত্রীকে অফিসাররা জানান, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পরে ডুয়ার্সের ট্রেন লাইনও পরিদর্শন করেন বনমন্ত্রী। বনমন্ত্রী রেললাইনের পাশে একাধিক নজরমিনার তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান। |