সরকারি নির্দেশ ছিল, বিসর্জনের পরেই জলাশয় থেকে তুলে ফেলতে হবে প্রতিমা ও পুজোর সামগ্রী। কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় বিসর্জনের প্রতিমায় ভরাট হচ্ছে পুকুর, এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
নিমতার এম বি রোডের ধারে বকুলতলার প্রায় ২ বিঘার পুকুরটিতে সারা বছর স্নান করেন স্থানীয় বাসিন্দারা, মাছচাষও হয়। প্রতি বছর দশমীর পরে নিমতা ও আশপাশের এলাকার প্রায় শ’খানেক প্রতিমার বিসর্জন হয় সেখানে। অন্য বার বিসর্জনের পরেই তুলে নেওয়া হয় প্রতিমার কাঠামো ও পুজোর সামগ্রী। কিন্তু এ বার তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে আবর্জনায় পুকুর ঢেকে গিয়েছে। স্থানীয় একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার তরফে অবিলম্বে পুকুর পরিষ্কারের আর্জিও জানানো হয়েছে। |
সংস্থাটির কর্মকর্তা অরূপ সাহা বলেন, “বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলকে জানিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আন্ত্রিক ছড়ানোয় পুরকর্মীরা সেখানেই ব্যস্ত। তাই পুকুর সংস্কারে দেরি হচ্ছে। কিন্তু এর পরে তো দূষণ যা ছড়ানোর ছড়িয়ে যাবে।”
প্রতিমার গায়ের রাসায়নিক রং থেকেই মূলত দূষণ ছড়ায়। সেই রাসায়নিক দ্রুত জলে মিশে যায়। তার ফলে মাছও মারা যায়। এ দিকে, পুকুরে আবর্জনার স্তূপ জমছে। ফলে স্নান করতে পারছেন না এলাকাবাসী। বিসর্জনের আবর্জনা থেকে দূষণ ছড়ানো প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “অবিলম্বে ব্যবস্থা নিচ্ছি।” পুরপ্রধান সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের তেমন পরিকাঠামো নেই। তবু প্রতি বছরই লোক লাগিয়ে কাঠামো ও আবর্জনা তোলা হয়। এ বার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আন্ত্রিক সামলাতে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। বিসর্জনের শেষ দিনের পরেই পুকুর পরিষ্কার করব।” |