|
|
|
|
আটক মার্কিন জাহাজ নিয়ে টানাপোড়েন |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে আটক মার্কিন অস্ত্রভর্তি জাহাজ সমুদ্রের ঠিক কোন জায়গায় ছিল তা জানা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নেহচল সান্ধু। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের জলসীমা উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই সীমার বাইরে যে কোনও জাহাজ যা খুশি করতে পারে। তা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।” সান্ধুর মতে, মার্কিন জাহাজটি ভারতীয় জলসীমার বাইরে থাকলে তার নাবিক ও রক্ষীরা ছাড়া পেতে পারেন।
তামিলনাড়ু পুলিশ সূত্রের খবর, আটক জাহাজটির দশ জন কর্মী ও ২৫ জন রক্ষীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আনা হয়েছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহন করার অভিযোগ। এ ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে দেড় হাজার লিটার ডিজেল কেনার অভিযোগে মামলাও করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ু পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় জাহাজ এনরিকা লেক্সি থেকে জলদস্যু ভেবে গুলি চালানো হয় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর। প্রাণ যায় দু’জনের। কেরল সরকার সেই ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের শিথিল মনোভাবের অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর অভিযুক্ত দুই মেরিনকে ভারতের হাতে তুলে দেয় ইতালির সরকার। সেই ঘটনার সময়ে কেরল সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন চলেছিল কেন্দ্রের।
সরকারি সূত্রের খবর, একই ভাবে তুতিকোরিনের এই ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে তামিলনাড়ুর।
নেহচল সান্ধু অবশ্য এ ধরনের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “এতে কোনও রাজনীতি দেখতে পাচ্ছি না আমি। পুরোটাই আইনের ব্যাপার। তদন্তকারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করুক।”
গত শনিবার চেন্নাই থেকে ছ’শো কিলোমিটার দক্ষিণে উপকূল রক্ষী বাহিনীর চোখে পড়ে সিম্যান গার্ড নামে এই মার্কিন জাহাজটি। তখন তাতে মজুত ছিল ৩১টি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং পাঁচ হাজার রাউন্ডেরও বেশি গুলি। আমেরিকার এক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যাডভানফোর্ট-এর হাতে রয়েছে এই সিম্যান গার্ডের মালিকানা। তবে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ সিয়েরা লিওনের।
ইতিমধ্যে অবশ্য অ্যাডভানফোর্ট সংস্থার পরিচালক উইলিয়াম এইচ ওয়াটসন ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাহাজটিকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেছেন, “পিলিন ঝড় চলার সময় আমাদের জাহাজটি বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারত। সে সময়ে জাহাজটিকে জ্বালানি ও আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দ্রুত জাহাজ ফেরানোর ব্যবস্থা করছি আমরা।” |
|
|
|
|
|