সাত বছরের এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বারো বছরের এক বালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানা এলাকার একটি গ্রামের ঘটনা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই নাবালিকাকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “নাবালক হওয়ায় আজ, শুক্রবার ধৃতকে সিউড়ি জুভেনাইল কোর্টে হাজির করানো হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিগৃহীতা মেয়েটির বাবা বর্তমানে একটি মামলায় জেল খাটছেন। তাঁর স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই গ্রামে বাস করেন। এ দিন সকালে তিনি দুই ছেলেমেয়েকে গ্রামেরই অন্য পাড়ায় শাশুড়ির কাছে রেখে এসেছিলেন। তারপরে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে খানিকটা দূরে একটি মুদিখানার দোকানে চলে যান। অভিযোগ, মায়ের অবর্তমানে পড়শি এক বালক ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ওই নাবালিকার মা বলেন, “দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ঢুকতেই দেখি ওই পড়শি বালক বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম ও হয়তো কোনও কাজে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখি মেয়ে বিছানায় শুয়ে ছটপট করছে। তার শরীর থেকে রক্তপাত হচ্ছে।” এরপরে তিনি নিজের শাশুড়ির কাছে ছুটে যান। পরে ওই বালককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু তখন সে ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে। পরে ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে নিগৃহীতাকে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাড়গ্রাম থানার ওসি তরুণ চট্টরাজ বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত বালকের খোঁজ করলে জানতে পারি সে গ্রামে নেই। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আমরা সিভিক পুলিশের সাহায্যে স্থানীয় হাঁসন মোড় থেকে তাকে ধরে ফেলি।” তরুণবাবুর দাবি, ওই বালক তার অপরাধ কবুল করেছে। এ দিকে, রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। |