ইন্টারনেটে সরকার বিরোধিতা, চিনে ধৃত দুই ব্লগার
বিতর্কের ঝড় চিনে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্লগারকে। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা সরকারি কাজকর্মের বিরুদ্ধে গুজব রটাচ্ছিলেন। তবে সমাজের সাধারণ মুখগুলোর দাবি, একনায়কতন্ত্রের ধ্বজা উড়িয়েই এ হেন পদক্ষেপ সরকারের। তাঁরা বলছেন, “মানুষের সমালোচনা কিংবা সমাজের ক্ষোভের সঙ্গে যুঝতে ওরা যদি একনায়কতন্ত্রকে অস্ত্র করে, বিদ্রোহ থামবে না। বরং দমিত ক্ষোভ থেকেই জন্ম নেবে আন্দোলন।”
সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গ্রেফতার নতুন কোনও অভিযোগ নয় চিনে। গত দু’মাসেই অন্তত ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। সরকার অবশ্য সবই গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও বাস্তবই অন্য কথা বলছে। ২০১০ সালে জেলে থাকাকালীন শান্তির নোবেল পেয়েছিলেন লিউ জিয়াওবো। রাজনৈতিক সংস্কার ও একনায়কতন্ত্রের শেষ চেয়েছিলেন তিনি। অন্ধ সমাজকর্মী চেন গুয়াংঝৌ দীর্ঘদিন কারাদণ্ডের পর তিনি যখন ছাড়া পান, গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সেই সঙ্গে চলে অকথ্য অত্যাচার।
যে আন্তর্জাল-অপরাধে এ বার গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্লগারকে, সে বিষয়ে শাসকদলের ক্ষমতার আস্ফালন কোন পর্যায়ে, পৌঁছেছে, প্রশ্ন তুলছেন সমাজতত্ত্ববিদরাই। চিনে অন্তত ২৬০০ ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ, গুগল প্লাস। বন্ধ ইয়াহু তাইওয়ান, ইয়াহু হংকং বা মোবাইল উইকিপিডিয়াও।

অভিযুক্ত ব্লগার
ডং রুবিন
২০০৯-এ ফেসবুক, টুইটার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সাংহাই থেকে ১৭ বর্গমাইল অঞ্চলে ফেসবুক-টুইটারের মতো সাইট ব্যবহার করে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
এ হেন দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহারও অবশ্যই আন্দোলন। আর যে দুই ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরাও এ রকমই দুই আন্দোলনকারী। ৫১ বছর বয়সী ডং রুবিন ইন্টারনেট কনসাল্টিং সংস্থার মালিক। বেআইনি ব্যবসা ও বিক্ষোভ তৈরির অপরাধে চার্জ গঠন করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। চিনে সামান্য নামডাকও আছে ডংয়ের। ২০০৯-এ জেলে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। অনলাইন তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করেছিলেন ডং। সম্প্রতি ‘অনলাইন ওপিনিয়ন লিডার’ হিসেবে সম্মান দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। তার পরই গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি ডংয়ের আইনজীবী। প্রতিবাদের অস্ত্র হিসেবে সে ব্লগ ব্যবহার করতে চান। জানান, যা বলার, ব্লগেই লিখবেন। ইয়াং লিখেছেন, “পরস্পরবিরোধী মন্তব্যের ঝড় উঠলে, সেটা কিন্তু মোটেই দুর্বলতা নয়, শক্তির লক্ষণ।”
ধৃত দ্বিতীয় ব্যক্তি পেশায় ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী। নাম ওয়াং লিমিং। মধ্যরাতে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ। ওয়াংয়ের বন্ধু উ জানান, পুলিশ ওয়াংকে নিয়ে যাওয়ার সময় বান্ধবীকে জানায়, একটি মাইক্রোব্লগ পোস্ট ফরওয়ার্ড করার অপরাধে ধরা হচ্ছে তাঁকে। একটা ছবি পাঠিয়েছিলেন ওয়াং। তাতে বন্যাবিধ্বস্ত ইউআও-এ নিজের শিশুসন্তানকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মা। খেতে না পেয়ে মারা গিয়েছে সন্তান। এ দিন উ বলেন, “লোককে গ্রেফতার করলেই সমস্যা মিটবে না। কারণ সমস্যা মানুষের নয়, সমস্যা আসলে প্রশাসনের অন্দরেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.