দলীয় নেতাকে খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাটোয়ার মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত সিপিএম নেতা কার্তিক মণ্ডলের বাড়িতে যায় সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল। বোলপুরের সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সাইদুল হক ছাড়াও সেই দলে ছিলেন চার জন বিধায়ক। পরে তাঁরা মহকুমাশাসকের অফিসে যান।
এ দিন ওই প্রতিনিধি দল অভিযোগ করে, তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়নি পুলিশ। থানায় অভিযোগকারী, নিহতের ছেলে কিংশুক মণ্ডল-সহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও পুলিশ ‘রেকডর্র্’ করেনি। বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থাও পুলিশ করেনি বলে অভিযোগ ওই সিপিএম নেতাদের। সাংসদ রামচন্দ্রবাবুর অভিযোগ, “ধৃতদের পুলিশ আদালতে পাঠাল ঘটনার বিবরণের কোনও নথিপত্র ছাড়াই, যা ভাবা যায় না!” |
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরেই খুন হন সিপিএমের কাটোয়া জোনাল সদস্য, দেয়াসিন গ্রামের বাসিন্দা কার্তিকবাবু। পর দিন নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে গ্রামেরই দশ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন কিংশুকবাবু। তাদের মধ্যে সাত জনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতের ছেলে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, “বাকি তিন অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও আমাদের নানা রকম হুমকি দিচ্ছে।” সাংসদ সাইদুল হক মহকুমাশাসকের কাছে ওই পরিবারের উপযুক্ত নিরাপত্তা ও বাকিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। কাটোয়ার মহকুমাশাসক আর অর্জুন জানান, পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |