তুফানগঞ্জ পুরসভা নিয়ন্ত্রিত দুটি শ্মশানে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দেহ দাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শ্মশানে ‘মাঝেমধ্যে’ মৃতের পরিচয় নথিভুক্ত করা হলেও ১ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া শশ্মানে আপাতত ওই ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ। এতে চিকিৎসকের শংসাপত্র ছাড়াই মৃতের পরিবারের লোকেরা দাহ করে যাচ্ছেন। বাসিন্দার একাংশের আশঙ্কা, অস্বাভাবিক মৃত্যু কিংবা খুন করেও দুষ্কৃতীরা মৃতদেহ দাহ করার সুযোগ নিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার সুযোগ নিতে পারে। দিনের পর দিন এমনটা চললেও তা বন্ধ করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন বা পুরসভার হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। তুফানগঞ্জ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গোডাউন মোড় লাগোয়া রায়ডাক সেতুর কাছে পুরসভা শ্মশান তৈরি করেছে। পুরসভার বসানো লোহার চুল্লিতে কাঠ দিয়ে মৃতদেহ দাহ করা হয়। পুরসভার তরফে এক অস্থায়ী কর্মীকে মৃতের পরিচয় নথিভুক্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া তো দূরের কথা অনেক সময়ই মৃতের পরিচয় যাচাই করার জন্য কোনও নথি নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। শহরের ১ ওয়ার্ড সংলগ্ন উল্লারঘাটের কাছে তৈরি অন্য শশ্মানটিতে মৃতের পরিচয় নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা নেই। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দে বলেন, “পুরসভা দুটি শ্মশানে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে দেহ দাহের ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে গড়িমসি করছে। শ্মশান নজরদারিতে কর্মী নিয়োগ জরুরি।” তুফানগঞ্জ মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা সজল সরকার বলেন, “পরিচিতির সূত্রে অনেকেই নানা মৃতদেহ দাহ করতে যান। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দাহ হওয়ায় এ জন্য তাঁরাও বিপাকে পড়তে পারেন।” তুফানগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বিভাস সেন ইশোর বলেন, “সার্টিফিকেট ছাড়া মৃতদেহ দাহ করা যায় না।” জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “মহকুমা শাসককে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “স্থানীয় থানাকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলছি।” ভারপ্রাপ্ত পুর চেয়ারম্যান সিপিএমের রমেশ সরকার জানান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শ্মশানে মাসে ৩০টি দেহ দাহ হয়। তার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। ১ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া শ্মশানে ওই ব্যবস্থা নেই। কালীপুজোর আগেই দুটি শশ্মানে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দাহ বন্ধ করার পরিকল্পনা হয়েছে। |