মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা জুড়েই শিবিরে ত্রাণ বিলি
কেশপুর এবং মেদিনীপুর সদরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। বাড়ি ফিরছেন জলমগ্ন এলাকার মানুষ। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষদের ত্রাণ বিলির কাজও চলছে। ত্রাণ হিসেবে পরিবারপিছু একটি করে প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। যেখানে থাকছে চাল, আলু, চিঁড়ে, গুড়, মুড়ি। বুধবার বিকেল থেকে ত্রাণ শিবিরে এই প্যাকেট বিলির কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামে আসার পরই তিনি এমন প্যাকেট তৈরি করে বিলি করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকে প্যাকেট তৈরি শুরু হয়। প্যাকেটে থাকছে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি চিঁড়ে, ৫০০ গ্রাম গুড়, ৫০০ গ্রাম মুড়ি। জানানো হয়েছে, স্বসহায়ক দলের সদস্যদের দিয়ে প্যাকেট তৈরি করতে হবে। তবে, প্রয়োজনে অন্য কোনও সংস্থাও প্যাকেট তৈরি করতে পারে।
মেদিনীপুরের সদর ব্লকের চকদৌলতে ত্রাণবিলি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
মেদিনীপুর সদরে এখন ৫টি ত্রাণ শিবির চলছে। শিবিরে সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৩১৬ জন রয়েছেন। কেশপুরে ৬টি ত্রাণ শিবির চলছে। শিবিরে ১ হাজার ৪৫৫ জন রয়েছেন। ইতিমধ্যে ত্রাণ হিসেবে মেদিনীপুর সদরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিলি হয়েছে ৩০০টি ত্রিপল, ৮ কুইন্ট্যাল চিঁড়ে, ৪ কুইন্ট্যাল গুড়, ১ কুইন্ট্যাল চিনি, ১০ কুইন্ট্যাল চাল। কেশপুরে বিলি হয়েছে ১৫০টি ত্রিপল, ১০ কুইন্ট্যাল চিঁড়ে, ১০ টিন গুড়, ৫ কুইন্ট্যাল চাল। বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর সদরে ত্রাণ বিলির কাজ তদারকি করেন বিডিও ঋত্বিক হাজরা। কেশপুরে ত্রাণ বিলির কাজ তদারকি করেন বিডিও মহম্মদ জামিল আখতার। মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত বলেন, “আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বহু মানুষ ইতিমধ্যে ঘরে ফিরেছেন। সব এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। ত্রাণ বিলির কাজ চলছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” টানা বৃষ্টি এবং জলাধার থেকে প্রচুর জল ছাড়ার ফলেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রবিবার জেলায় ৪৩.৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সোমবার ৪৬.৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সঙ্গে জলাধারের ছাড়া জল নদীতে এসে মেশার পর এ জেলার সুবর্ণরেখা এবং কংসাবতী ফুলেফেঁপে ওঠে। মঙ্গলবার সকালেও গালুডি থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক এবং কংসাবতী থেকে ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। বুধবার অবশ্য জল ছাড়ার পরিমান কমেছে। যেমন, এদিন সকালে কংসাবতী থেকে ৭ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সোমবার থেকে মেদিনীপুর সদরের পাঁচখুরি, পাথরা প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। কেশপুরের এনায়েতপুর, ঝেঁতল্যা প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এখন সর্বত্রই জল নামছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.