মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করে তাঁকে বলেছিলেন, আপনিই রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার প্রেসিডেন্ট হোন। ভাবা গিয়েছিল টিটি-র নির্বাচন নিয়ে তৈরি হওয়া কর্তাদের ঝামেলা মিটে গিয়ে সর্বসম্মত প্রেসিডেন্টই হবেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা তো হলই না। উলটে তৈরি হল নতুন জট। ফটোকপিতে মনোনয়ন জমা দেওয়া-সহ নানা প্রক্রিয়াগত সমস্যায় স্থগিত হয়ে গেল পুরো নির্বাচনই। ফলে প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার সোমনাথবাবু রাজ্য টিটির প্রেসিডেন্ট হবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হল। পরিস্থিতি যা তাতে মাস তিনেক পর পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই নতুন করে শুরু করতে হবে হয়তো।
ফটোকপিতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার সোমনথাবাবু। তিনি কি আবার প্রেসিডেন্ট পদে নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন? “সর্বসম্মত না হলে আমি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াব না। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ায় আমি নেই। এ সব ঝগড়াঝাটির মধ্যে থাকতে চাই না,” ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলে দিলেন বিরক্ত প্রাক্তন সাংসদ। জানা গিয়েছে, সোমনাথবাবুর বিরোধী গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট পদে একজন নামী ব্যক্তিত্বকে দাঁড় করাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে।
রাজ্য টিটির নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ছিল ২৭ অক্টোবর। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রদীপকুমার বিশ্বাস বুধবার টিটি কর্তাদের ষোলো পাতার চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ার পদ্ধতি নিয়ে নানা রকম চিঠি জমা পড়ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন করার জন্য আরও তিন মাস সময় দরকার।” চিঠি পাওয়ার পর সচিব হেমেন ভট্টাচার্য বলে দিলেন, “চিঠি আমরা সর্বভারতীয় সংস্থা টিটিএফআইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা যা বলবে তাই হবে।” জানা গিয়েছে, টিটিএফআই মাস তিনেক সময় দিতে পারে নির্বাচনের জন্য।
|