চন্দননগরে দুই বোনকে খুনে গ্রেফতার মায়ের প্রেমিক
মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ছেলেমেয়েরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সে জন্যই দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে মায়ের প্রেমিক। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ চন্দননগরের নাড়ুয়া ষষ্ঠীপুকুরধার এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর পাঁচেকের নয়না মেটে ও তার দিদি সতেরো বছরের মামনির দেহ। তাদের আরও দুই ভাইবোন আছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মা সরস্বতীকে। রাতেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই মহিলার প্রেমিক উজ্জ্বল মণ্ডলকে স্থানীয় উর্দিবাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসডিপিও সৈকত ঘোষ বলেন, “মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি বলেই খুন হতে হয়েছে দুই বোনকে। তাদের মা সরস্বতী মেটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে।” কিন্তু বাকি দুই ভাইবোন অক্ষত থেকে গেল কী করে? পুলিশ জানিয়েছে, তারা সে সময়ে বাড়িতে না থাকায় আক্রমণের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা সরস্বতীর চার ছেলেমেয়ে। স্বামীর গৌরের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কিছু দিন আগে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে তিনি তারকেশ্বরের লোকনাথে চলে আসেন। মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন সরস্বতী। কাজের সূত্রেই চন্দননগরের কাটাপুকুরের বাসিন্দা উজ্জ্বলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। যা ছেলেমেয়েরা ভাল চোখে দেখত না। দিন পনেরো আগে চন্দননগরে বাসা ভাড়া নেন সরস্বতী। বাড়ির মালিক রেখা সিংহ জানান, মাঝে মধ্যেই বাইরে থেকে এক ব্যক্তি এসে থাকত। ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত সংসারে। তবে ভাড়াটের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এর থেকে বেশি মাথা ঘামাননি রেখাদেবী। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাজে বেরিয়েছিলেন সরস্বতী। বাড়ি ছিল না ছেলে রানা ও মেয়ে টুম্পাও। সে সময়ে বাড়িতে চড়াও হয় উজ্জ্বল। মামনিকে মারধর করে গলা টিপে সে খুন করে বলে অভিযোগ। নয়না কান্নাকাটি করায় তাকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপরে দু’জনের দেহ ফেলে রেখা পালায়। যদিও রাতেই ধরা পড়ে যায় উজ্জ্বল। বুধবার চন্দননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবকের
একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তাঁর সঙ্গী। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার বড় তাজপুরে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ সামসুদ্দিন (১৭)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ জানায়, দুপুর দেড়টা নাগাদ সামসুদ্দিন এবং অন্য এক যুবক মোটরবাইকে চেপে শ্রীরামপুরের দিক থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়িটির চালককে। অন্য দিকে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক পর পর কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা মারলে পাঁচ জন জখম হয়েছেন। সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এক মোটরবাইক আরোহীর আঘাত গুরুতর। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরের বেল্টিং বাজারে জিটি রোডে। ঘটনার পরে ট্রাকের চালক এবং খালাসি গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। জনতা তাদের ধরে ফেলে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ট্রাকে ভাঙচুর করে জনতা। পুলিশ এসে গাড়িটিকে আটক করে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.