|
|
|
|
সাঁওতাল পরগনার বাঙালি ভোটে নজর বিজেপির |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসাতে সাঁওতাল পরগনার বাঙালি ভোট টানতেও তৎপর বিজেপি!
সেই কাজে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে দলের বাঙালি নেতাদের। ভোটে জিতলে ঝাড়খণ্ডে বাংলা শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনাও করছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে দেশের সব প্রান্তের ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। তার প্রেক্ষিতেই সাঁওতাল পরগনার বাঙালিদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোয় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য গঠিত ‘বহু ভাষাভাষী কমিটি’-র গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে দুমকার বাঙালি নেতা শিবলাল ঘোষকে। তিনি বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য।
|
শিবলাল ঘোষ |
শিবলালবাবুকে ওই কমিটিতে রাখার পিছনে যে বাঙালি ভোট টানার ছক রয়েছে, সেই ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্য নেতাদের কথাতেই। দলের সাধারণ সম্পাদক বালমুকুন্দ সহায় বলেন, “শিবলালবাবু দলের পুরনো কর্মী। এলাকায় পরিচিতি রয়েছে। তিনি ওই কমিটিতে থাকায় নির্বাচনে দলের লাভ হবে বলেই আশা করা যায়।”
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজমহলের দেবদাস পাল, জামতাড়ার বাবু মুখোপাধ্যায়ের মতো আঞ্চলিক স্তরের কয়েক জন নেতাকেও বাঙালি ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাঁওতাল পরগনায় বিজেপি-র বাঙালি নেতা হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত মুখ রাজমহলের বিধায়ক অরুণ মণ্ডলের।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, সাঁওতাল পরগনা বাঙালি অধ্যুষিত জায়গা। ৭০ শতাংশ বাঙালি ভোট সেখানে রয়েছে। ওই এলাকার কোনও সমাবেশে বাংলাতেই বক্তৃতা করেন জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন। সাইমন মরাণ্ডি, আকিল আখতার, বিষ্ণু ভাইয়ার মতো জেএমএম নেতারাও বাংলায় সাবলীল। সে কারণেই সাঁওতাল পরগনায় জেএমএম নেতাদের জনপ্রিয়তা বেশি। তবে, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডাও বাংলায় ভালো কথাবার্তা বলতে পারেন।
রাজ্য বিজেপি এ বার জেএমএম, জেভিএম-এর সেই বাঙালি ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে চাইছে। সাঁওতাল পরগনার ১৬টি বিধানসভার মধ্যে আপাতত বিজেপি-র দখলে রয়েছে দু’টি আসন--নালা এবং রাজমহল। সেই সংখ্যা বাড়াতেই উদ্যোগী ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|