স্বামীর সঙ্গে বিবাদ মেটানোর জন্য তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। যজ্ঞ করার সময়ে হাত-পা বেঁধে ওই তান্ত্রিক ও তার এক সঙ্গী তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণী।
তরুণীর অভিযোগ, মোবাইলে ওই ঘটনার ছবি তুলেছিলেন তান্ত্রিকের পরিচিত এক মহিলা ও তাঁর স্বামী। ওই তরুণীর অভিযোগ পেয়ে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ বুধবার তান্ত্রিক দীপ চক্রবর্তী ওরফে নাগা দীপপুরী এবং তার সঙ্গী আশিস দে-কে গ্রেফতার করেছে। মৌসুমী ও শান্তনু দে নামের যে দম্পতি এই ধর্ষণের ছবি মোবাইলের ক্যামেরায় তুলেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তান্ত্রিকের বাড়ি মহেশতলার বেলেডাঙায়। সেখান থেকে ওই তরুণীকে পর্ণশ্রী এলাকায় মৌসুমী ও শান্তনুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
তরুণীর স্বামী পুলিশকে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ওই তান্ত্রিক এবং আশিস। এ দিন ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তদের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
পুলিশ জানায়, ওই তরুণী স্বামীর সঙ্গে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার বোম্বাইবাগানে থাকেন। তাঁর বাপের বাড়ি মহেশতলায়। তিনি পুলিশকে জানান, কয়েক মাস ধরেই তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। তা থেকে মুক্তি পেতে তরুণী বাপের বাড়ি গিয়ে ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তান্ত্রিক তরুণীকে গত ২৯ অগস্ট তার অফিসে দেখা করতে বলে।
তরুণীর অভিযোগ, তান্ত্রিক ও তার সঙ্গী আশিস তাঁকে একটি ট্যাক্সিতে চাপিয়ে পর্ণশ্রীর অভয় বিদ্যালঙ্কার রোডে শান্তনু ও মৌসুমীর বাড়িতে নিয়ে যায়। কলহ মেটানোর জন্য ওই বাড়িতে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। তরুণীর অভিযোগ, যজ্ঞের সময়ে হাত-পা বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করে তান্ত্রিক ও আশিস। তরুণীর অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তুলে রাখে মৌসুমী এবং শান্তনু।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা তরুণীকে মোবাইলে তুলে রাখা ছবি দেখিয়ে এত দিন ‘ব্ল্যাকমেল’ করত। ভয়ে প্রথমে এই ঘটনার কথা কাউকে বলেননি ওই তরুণী। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ সহ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় তরুণী তাঁর স্বামীকে ঘটনার কথা জানান। এর পরেই তাঁরা পুলিশকে সব জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার রাতে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানান ওই তরুণী ও তাঁর স্বামী। পুলিশ এ দিন সকালে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এবং তাদের মোবাইলগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। |