সবে বিজয়া দশমী গিয়েছে। ফুল, ফল-সহ শাকসব্জির বাজারে আগুন। আজ, বৃহস্পতিবার আশ্বিন ত্রয়োদশী তিথিতে ৫১ পীঠের অন্যতম কঙ্কলীতলায় ৫১ কুমারী পুজো। শুক্রবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এ সবের সঙ্গে বাঙালির বাড়িতে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে রাজ্যের অন্যান্য বাজারের মতো বোলপুরে ফল ও শাক-সব্জি-সহ আতপ চাল, মুগডালের দাম আগুন ছোঁয়া। আর তা নিয়েই সকাল থেকে হিমশিম খেতে হয়েছে গৃহকর্তা ও গিন্নিদের। এই অবস্থায় নমো নমো করে বিধান সারলেই বাঙালির যেন কেল্লাফতে। |
বুধবার ঈদুজ্জোহা উপলক্ষে ছুটির বাজারে বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সেই অর্থে খুব একটা দোকান-বাজার খোলা ছিল না। যে কয়েকটা স্থায়ী দোকান খোলা ছিল, তাতেই ফল-শাকসব্জির দরে হাত দেওয়া যাছে না বলে জানালেন বোলপুরের তন্ময় লাহিড়ী, ভুবনডাঙার বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ, গুরুপল্লীর বাসিন্দা মহাদেব মণ্ডল, কঙ্কালীতলার বাসুদেব ঠাকুর এবং গৃহবধূ শম্পা মুখোপাধ্যায়রা।
এ দিন, এক একটি নারকেল ৩৫থেকে ৪০ টাকা, খেজুর ৯০ থেকে ১০০ টাকায় ঘোরাফেরা করেছে। ফুলকপি জোড়া ৬৫ টাকা, আতপ চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি, মুগ ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। ফলের দামও আকাশ ছোঁয়া। আপেলের দাম ৯৫-১০৫ টাকা, আতা ৭-৮ টাকা পিস, কলা ডজন দর ছিল ৩০-৪০ টাকা, ডাব ৩০-৩৫ টাকা। শম্পাদেবীদের কথায়, “এছাড়াও রয়েছে দশকর্মার সামগ্রী। যেখানে কাটছাঁট করার কোনও উপায় নেই।” লক্ষ্মীর আরাধনা করতে গিয়ে গৃহস্থদের ভাঁড়ারে টান। তবুও বাঙালির ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হবে সাড়ম্বরে। |