টুকরো খবর
অপহরণের অভিযোগ
বেলেঘাটার এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হল এন্টালি থানায়। বেলেঘাটা রোডের বাসিন্দা পাঁচু হেলা নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর ছেলে জিতু অষ্টমীর রাতে স্থানীয় তিন যুবকের সঙ্গে গুড়িপাড়া রোডে রেল আবাসনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে যান। স্থানীয় দু’জন ওই তিন যুবককে রাত তিনটে নাগাদ সেখান থেকে বেরোতে দেখলেও তার পর থেকে নিখোঁজ জিতু। পাঁচুবাবুর দাবি, পরের দিন তাঁর স্ত্রী ও বোন ওই ঘরে জিতুকে খুঁজতে গিয়ে মেঝেয় রক্তের দাগ দেখেন। ওই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন, গাঁধী কলোনি ও ওই রেল আবাসনের দুই ব্যক্তির সঙ্গে জিতুর পুরনো বিবাদ রয়েছে। তাঁরা তিন যুবককে দিয়ে জিতুকে অপহরণ করান। জিতুর পরিজনেরা জানান, স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ করত সে। কিছু দিন ধরে তাঁদের ঝামেলা চলছিল। অভিযোগ, সপ্তাহ দুই আগে তাঁদেরই এক জন জিতুকে হুমকি দেয়। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, পরিত্যক্ত ঘর থেকে পাওয়া রক্ত ফরেন্সিক তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ জানায়, এলাকায় জিতুর নামে দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে জিতুর মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার
বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে এক প্রৌঢ়ের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে, মুচিপাড়া থানা এলাকার সূর্য সেন স্ট্রিটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। জাস্টিস মন্মথ রো-তে তাঁর একটি প্রিন্টিং সংস্থা রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়িতে একাই থাকতেন গৌতমবাবু। ১০ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। পাঁচ দিন পরেও ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা খবর পাঠান মুচিপাড়া থানায়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের শৌচাগার থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, গৌতমবাবুর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

জমা জলে দুর্ভোগ
তুমুল বৃষ্টিতে ভাসল উৎসবের মহানগর।
দুর্গার বিদায় লগ্ন থেকেই বৃষ্টির জেরে ফিরে এল শহরের পুরনো জল জমার ছবি। দশমীর রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। আর তা কার্যত ভারী আকার নেয় মঙ্গলবার, একাদশীর সকালে। সোম এবং মঙ্গলবারের এই বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন রাস্তায়। সখের বাজার, শীলপাড়া, দক্ষিণ বেহালা থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে জল দাঁড়িয়ে যায়। জল জমে মহাত্মা গাঁধী রোড, কলেজ স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, বিধান সরণি, জওহরলাল নেহরু রোড থেকে শুরু করে খিদিরপুর রোডে। সব জায়গাতেই গোড়ালি ডোবা জল জমে যায়। জমা জল নামতে দুপুর গড়িয়ে যায়। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির মোট পরিমাণ ছিল ৬২ মিলিমিটার। আজ, বুধবারও বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী
সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণা দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়েছে। মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র ‘অখিল বিমানে’ কৃষ্ণাদেবীর গাওয়া অন্যতম বিখ্যাত গান। নবমীর দিন বিকেল তিনটে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিং হোমে তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। বাংলা ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় জানান, ‘অখিল বিমানে’ গানটি আগে গাইতেন সুপ্রভা সরকার। দ্বিজেনবাবুর কথায়, “সুপ্রভা সরকার তখন সব থেকে বড় শিল্পী ছিলেন। তিনি মারা গেলে বেশ কয়েক জনকে দিয়ে গানটি গাওয়ানোর চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত পঙ্কজ মল্লিক কৃষ্ণাকে পছন্দ করেন।”

ছাত্রীর শ্লীলতাহানি
বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর পরিবার পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এনজি সাহা রোড এলাকার ঘটনা। ওই এলাকাতেই থাকে ওই ছাত্রী। অভিযোগ দশমীর রাতে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি। ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে ওই ব্যক্তি। বাড়ি ফিরে মাকে ঘটনাটি জানায় মেয়েটি। মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।

গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু
প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার, বাগবাজার ঘাটে। মৃতের নাম সুকুমার কংসবণিক তিনি সিকদারবাগানের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে জলে তলিয়ে যান সুকুমার। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ জল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।

হার ছিনতাই
সপ্তমীর সন্ধ্যায় বালিগঞ্জ থানার চক্রবেড়িয়া রোডে এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালায় দুই মোটরবাইক আরোহী। স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময়ে দুই দুষ্কৃতী পিছন থেকে হার ছিনিয়ে পালায়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.