বিসর্জনে গিয়ে ডুবে গেলেন বাবা-ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন বাবা, ছেলে-সহ তিন জন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুরারই থানার তিওর পাড়া লাগোয়া বাঁশলই নদীতে। মাত্র এক জনেরই দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম বিশ্বজিৎ সরকার (৪৫)। বাড়ি ওই গ্রামেই। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে গ্রামের পুজোর বিসর্জনে সামিল হতে স্থানীয় একটি পুকুরে গিয়েছিলেন পেশায় বিএসএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ সরকার। সঙ্গে ছিল তাঁর একমাত্র ছেলে শুভ্রজ্যোতি ও ভাইপো প্রণয়। বির্সজনের পরে বাঁশলই নদীতে তিনি তাদের সাঁতার শেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। শেখানোর সময় আচমকা নদীর জলের স্রোতে নাগালের বাইরে চলে যায় তারা। অনেক চেষ্টা করেও বিশ্বজিৎবাবু ছেলে ও ভাইপোকে আয়ত্তের মধ্যে আনতে পারেননি। ওই দু’জনকে বাঁচাতে গিয়ে এক সময় তিনিও তলিয়ে যান। প্রতিবেশী গ্রাম পারকান্দির বাসিন্দা প্রহ্লাদ মণ্ডল বলেন, “জলে তলিয়ে যাওয়ার পরে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বিশ্বজিৎবাবুর দেহ নদীর জলে ভেসে ওঠে। মুরারই ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বজিৎবাবুকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।” পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভ্রজ্যোতি মুর্শিদাবাদের সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশনের দশম শ্রেণির ছাত্র। একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রণয় পড়ত রামপুরহাটের একটি স্কুলে। বিএসএফের জওয়ান বিশ্বজিৎ সরকার ওড়িশার কোলাপুরে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে পুজোর ছুটি কাটাতে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।
|
অভিযুক্তের আত্মসমর্পণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
আত্মসমর্পণ করলেন কলেজ ছাত্র জিয়ার মণ্ডল খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তাঁরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাফিউর রহমান। প্রায় এক সপ্তাহ ফেরার থাকার পরে মঙ্গলবার তিনি নলহাটি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সাফিউরকে বুধবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হবে। এই নিয়ে ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করল। গত বুধবার রাতে নলহাটি থানার কাঁটাগড়িয়া গ্রামে ছুরি দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের সামনেই বাড়ির বাইরে টেনে বের করে নলহাটি হিরালাল ভকত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জিয়ার মণ্ডলকে (২৭) কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরই কয়েক জন বন্ধু-সহ পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও জানান, ঘটনার পর থেকেই সাফিউর ফেরার ছিল। পুলিশ তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল। তিনি বলেন, “সাফিউরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।” ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার আর এক অভিযুক্ত সিকন্দর আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু ৭ দিনের হেফাজত পেয়েও পুলিশ ওই যুবককে ঠিক কী কারণে খুন করা হল, তা বের করতে পারেনি। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, সম্প্রতি কোনও কারণে জিয়ারের সঙ্গে ওই যুবকদের বন্ধুত্বে চিড় ধরেছিল। তার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের অনুমান। |