টুকরো খবর
বর্গভীমার মন্দিরে পুজো দিয়ে দেবীর বোধন
ঐতিহ্য মেনে মহাষষ্ঠীর সকালে ডালি সাজিয়ে প্রতিটি মণ্ডপ থেকে পুজো দেওয়া হল তমলুক শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমাকে। তমলুক শহরে যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেওয়া দীর্ঘদিনের রীতি। শক্তি আরাধনার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত প্রাচীন এই শহরে আলাদা করে দুর্গাপূজার চল ছিল না। শঙ্করআড়া খাল থেকে পায়রাটুঙি খালের সীমানা এলাকার বাইরে শহরে কয়েকটি পারিবারিক পুজো হত শুধু। প্রায় ৬০ বছর আগে তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সর্বজনীন দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়। আবাসবাড়ি ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের সম্পাদক অনিমেষ মিশ্র বলেন, “প্রায় ৬০ বছর আগে শহরের এই এলাকায় দুর্গাপূজা শুরুর সময় আমাদের পূর্বসূরীরা দেবী বর্গভীমার অনুমতির জন্য তাঁর পায়ে পূজা দিয়ে আসেন। সেই থেকে এই চল।” তমলুকের তরুণ ইতিহাস গবেষক জয়দীপ পণ্ডা বলেন, ‘‘দেবী দুর্গার পূজা শুরুর আগে অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমাকে নিজেদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে উদ্যোক্তারা অনুমতি নেন। কালক্রমে এটাই রীতি হয়ে গিয়েছে।” সময়ের সঙ্গে শহরে দুর্গাপূজার সংখ্যা আরও বেড়েছে। ছোট-বড় মিলিয়ে শহরে এখন পূজার সংখ্যা প্রায় ৪০। এখন উদ্যোক্তারা রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বর্গভীমার মন্দিরে পুজো দিতে যান। শহরের রামসাগর এলাকায় মহিলাদের ক্লাব ‘হৃদজয়া’র সদস্যরাও এদিন ঢাক-সহ শোভাযাত্রা সহকারে শহর পরিক্রমা করে দেবী বর্গভীমার মন্দিরে পূজা দিতে যান। পূজা কমিটির সহ-সভাপতি বিভা চক্রবর্তী বলেন, “ সবাই মিলে শোভাযাত্রা করে গেলাম। খুব ভাল লাগল।”

ঘাটালে নৌকা চেপেই দেবীদর্শন
ঘাটাল-চন্দ্রকোনা এবং ঘাটাল-মেদিনীপুর (ভায়া নাড়াজোল) সড়ক দু’টিতে এখনও এক হাঁটু সমান জল। পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে বলে আশা করছে না কেউ। তাই জলমগ্ন ঘাটালেও বাসিন্দারা যাতে পুজোর মজা নিতে পারেন--তার জন্য পুরসভা এবং প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অদীপ রায় বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে জল একটু একটু করে কমছে। তবে জল পুরোপুরি কমতে এখনও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা যাতে পুজো দেখতে বেরোতে পারেন, তার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌকায় করে পুলিশও টহল দেবে।” পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “সকাল আটটা থেকে রাত ন’টা পযর্ন্ত এলাকার বাসিন্দারা নিখরচায় নৌকায় করে মণ্ডপে-মণ্ডপে যেতে পারবেন। নৌকার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই হবে। বাড়িতে নৌকা পৌঁছে যাবে এবং বাড়িতে ছেড়েও দিয়ে আসবে।”

চলছে চেক বিলি
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মতো ব্লকস্তরে সারদার ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিলি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেশপুর, শালবনি-সহ কয়েকটি ব্লকে চেক বিলি হয়। কেশপুরে ১৫০টি, শালবনিতে ১২০টি চেক বিলি হয়। আগেই শ্যামল সেন কমিশন ঝাড়াই-বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের নামের তালিকা পাঠিয়েছিল জেলায়। তাঁদের নামে চেকও পাঠানো হয়। তালিকায় মোট ৬ হাজার ৫৯৭ জন আমানতকারীর নাম রয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে ৬০০ জনকে চেক প্রদান করা হয়। তারপর থেকে ব্লকে ব্লকে চেক বিলি চলছে।

দুঃস্থদের বস্ত্র
এগরা সংস্কৃতি মঞ্চের (এগরা মেলা) উদ্যোগে এগরা স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মহাষষ্ঠীর দিন বৃহস্পতিবার ১০০ দুঃস্থ কচিকাঁচার হাতে নতুন জামা-কাপড় তুলে দেওয়া হল। ৫০ জন মহিলাকে নতুন শাড়ি দেওয়া হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.