দ্বারকানাথ সনসগিরি • পুণে |
দুশো নম্বর টেস্টটা সচিন যেখানেই খেলুক না কেন, আমরা, ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, মাঠে থাকতেই হবে। সেই মতো প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার টিকিট বুক করে রেখেছিলাম। তার পর হঠাৎ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা চলে এল। বুকিং বাতিল করতে হল সবাইকে। যাই হোক, দুশোর জন্য অপেক্ষার পালা চলছিল। কিন্তু কখনও ভাবতে পারিনি দুশোটাই সচিনের শেষ টেস্ট হতে চলেছে।
আর এই সিদ্ধান্তটা যে সচিন নিতে চলেছে, সেটা কিন্তু পরিবারের বাইরে কেউ জানত বলে মনে হয় না। আসলে সচিন এ রকমই। ওর সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছি। অনেক আড্ডা হয়েছে ওর বাড়িতে। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে কখনও সে ভাবে মুখ খুলত না।
এই তো সচিনের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিন দিন আগেও ও সচিনের সঙ্গে কাটিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তখন আইপিএল জেতা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ও-ও কোনও রকম ইঙ্গিত পায়নি যে সচিন এ ভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেবে। আমি বেশ কয়েক মাস দেশের বাইরে কাটিয়ে সবে ফিরেছি। সচিনের সঙ্গে মাঝে কথা না হলেও মোবাইলে টেক্সট মেসেজ আদান প্রদান হতই। কিন্তু তাতেও কোনও রকম ইঙ্গিত ছিল না যে ও অবসর নেবে।
আমরা এখন একটাই প্রার্থনা করছি। শেষ টেস্টটা সচিন যেন অন্তত মুম্বইয়ের মাটিতে খেলে। |