তাঁর মনে হচ্ছে, সচিন তেন্ডুলকরের অবসরের পৃথিবীতে ঢুকে পড়ার এটাই সঠিক সময় ছিল। তাঁর মনে হচ্ছে, সচিন তেন্ডুলকরের জীবনের শেষ টেস্ট অবশ্যই হওয়া উচিত মুম্বইয়ে। তিনি আশা করেন, সচিনের মা-কে এ বার অন্তত ছেলের খেলা দেখতে দেখা যাবে!
তিনিসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অভিন্নহৃদয় বন্ধু এবং ভারতীয় দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
বর্তমানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কমেন্ট্রি নিয়ে ব্যস্ত সৌরভ। আপাতত তিনি রাজকোটে। এবং সচিনের অবসর-প্রসঙ্গে রাজকোটে সাংবাদিকদের সৌরভ বলে দিয়েছেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে হঠাৎই হাজির করানোর পর কেন জানি না আমার মনে হচ্ছিল, সচিন এ বার অবসর নিতেও পারে। আমি তো বলব একদম ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিল সচিন। মনে হয় না আর ওর ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল বলে।” |
পুরনো বন্ধুকে নিয়ে বলতে বলতে কখনও নস্ট্যালজিকও হয়ে পড়েছেন সৌরভ। একটি চ্যানেলকে যেমন বলেছেন, “চোদ্দো বছর বয়সেই দিন রাত নেটে পড়ে থাকত। ব্যাটিং ছাড়া কিছু বুঝত না। কোচকে প্রায় ওকে টেনে বার করে আনতে হত।”
সৌরভ মনে করেন, সচিন যে চব্বিশ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত সফল তার প্রধান কারণ সচিনের এই সাধনা। বলেছেন, “শুধু ওর প্রতিভাকে দেখলে চলবে না। বরং ও যে প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে সেটা না দেখে, দেখা উচিত ও সেই প্রতিভাটা নিয়ে কী করেছে। আমি তো বলব ওর এই অক্লান্ত পরিশ্রমই ওর সাফল্যের মূলমন্ত্র।”
প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের আরও মনে হচ্ছে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর সচিন যে কিছু করবেন না, মনে করার কোনও কারণ নেই। একটি চ্যানেলকে বলেছেন, “ওর বয়স এখন চল্লিশ। প্রায় গোটা জীবনটাই ওর সামনে পড়ে আছে। আমার সঙ্গে সকালে আজ ওর কথা হয়েছে। পারফেক্ট ডিসিশন বলতে যা বোঝায়, এটাও তাই।” সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই যে ওর অবসরের টেস্টটা মুম্বইয়ে হোক। আরও একটা জিনিস আশা করছি। আজ পর্যন্ত ছেলের খেলা দেখতে সচিনের মা-কে কখনও আসতে দেখা যায়নি। আশা করছি, ছেলের শেষ টেস্টটা দেখতে তিনি এ বার আসবেন।” |