|
|
|
|
পুজোয় রেলশহর মন্দিরময় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কোথাও গুজরাটের ‘সোমনাথ মন্দির’ তো কোথাও মায়াপুরের ‘চন্দ্রোদয়া’পুজোয় সবই হাজির ‘মিনি ইন্ডিয়া’ খড়্গপুরে। থার্মোকল, ফোম ও কাপড়ের মোড়কে নানা প্রদেশের স্থাপত্যশৈলী দেখতে ষষ্ঠীর দুপুর থেকেই ভিড় জামান মিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
এ বছর মথুরাকাটি সর্বজনীনের পুজোয় উঠে এসেছে মায়াপুরের নির্মীয়মাণ ‘চন্দ্রোদয়া মন্দির’। ফাইবার ও কাপড় দিয়ে তৈরি এই ৯০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ দেখে থমকে দাঁড়াতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। আবার মালঞ্চর আদি পুজা কমিটি এ বার ফুটিয়ে তুলেছে সদ্য বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের অবিকৃত কেদারনাথ। |
|
খড়্গপুরের এক পুজো মণ্ডপ। |
থার্মোকলের কারুকাজে ফুটে উঠেছে পাথরের মন্দির। তালবাগিচা সবুজ সঙ্ঘও এ বারের থিম কেদার। বাবুলাইন সর্বজনীন গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ করেছে। বাবুলাইন পুজো কমিটির তরফে খোকন দাস বলেন, “এই মিনি ইন্ডিয়ায় বহু মানুষ আছেন যাঁরা আসল মন্দিরগুলি গিয়ে দেখা হয়নি। আবার অনেকেই আসল মন্দির দেখলেও এই মণ্ডপগুলির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে ভালবাসেন।” শুধু মন্দির নয়, এই শহরে স্থান পেয়েছে দেশ-বিদেশের বহু স্থাপত্যশৈলীও। সুভাষপল্লি সেবাসমিতি বিএনআর ময়দানে বানিয়েছে জয়পুর প্যালেস, সাউথ ডেভেলপমেন্ট অভিযাত্রী পুজো কমিটি রোমের জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে মণ্ডপ গড়ে দর্শনার্থী টেনেছে ভালই। উত্তর তালবাগিচা সর্বজনীন দুর্গাপুজো মহীশূরের প্যালেসের ধাঁচে মণ্ডপ করেছে।
এ বার অধিকাংশ পুজোই পঞ্চমীতে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠীর দিনেও আবহাওয়া ভালই। তাই ঘরে বসে নেই কেউ। ডেবরা থেকে পুজো দেখতে খড়্গপুরে এসেছেন সুমন ঘড়াই। তাঁর কথায়, “শহরে ভাল-ভাল মণ্ডপ-প্রতিমা হয়েছে। তাই দেরি না করে বেরিয়ে পড়েছি।” |
|
|
|
|
|