|
|
|
|
সহযোগিতার বার্তা দিয়ে মমতাকে চিঠি জয়রামের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আর্থিক প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গকে সহযোগিতারই বার্তা দিচ্ছে মনমোহন সিংহের সরকার।
পাঁচ দিন আগে মমতা তাঁর ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেটি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন মনমোহন সিংহ। চিদম্বরম এখন আমেরিকা সফরে। ১৭ তারিখে দিল্লি ফিরলেই চিদম্বরমকে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ দু’দিন আগে উৎসবের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতাকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার গ্রামীণ সড়ক ও অন্যান্য গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে রাজ্যের দাবিও মেনে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু কর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন জয়রাম। সেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নিয়ে দু’পক্ষের কথা হয়। রাজ্যের কর্তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান, চলতি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের অধীনে কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য খরচ হবে ২ হাজার কোটি। কিন্তু বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলায় ১৮৮৭ কিলোমিটারের ৪২১টি সড়ক তৈরির জন্য যে ১,১০০ কোটি টাকা খরচ হবে, সেগুলির জন্য দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি করা হবে। জয়রাম জানান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ত্রিপুরা-সহ সব রাজ্যেই এই প্রকল্পের অধীনে সড়ক নির্মাণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যকেই সরাসরি টাকা দেওয়া হবে। রাজ্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবে।
জয়রাম মমতাকে এই বিষয়টি জানিয়ে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ও অন্যান্য গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ এর আগে কেন্দ্রের কাছ থেকে যে অপ্রত্যাশিত সহযোগিতা পেয়েছে, তা নিশ্চয়ই আপনি মানবেন। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে যে লাগাতার অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে, এটি তারই প্রতিফলন।” কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রের মতে, রঘুরাম রাজন কমিটির সুপারিশকে সামনে রেখে মমতা যে ভাবে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছেন এবং অন্য কিছু রাজ্যকে তাতে সামিলের চেষ্টা করছেন, লোকসভা ভোটের আগে তা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন দলের একাংশ। তা ছাড়া মমতা ইউপিএ জোট ছাড়লেও লোকসভা ভোটের পর ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়তে তাঁর সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে বলে মত বহু কংগ্রেস নেতার। ফলে রাজ্য স্তরের রাজনীতি যা-ই থাক, মমতার ক্ষোভ বাড়তে দেওয়া সঠিক কৌশল নয় বলেই মনে করেন তাঁরা। তাই প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো মমতার চিঠিটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|