কোন কপ্টারে রাষ্ট্রপতি, বাজি ধরাধরি কীর্ণাহারে
ফশোসের অন্ত নেই অন্নপূর্ণাদেবীর। পল্টুর সঙ্গে যে এ বার বেশি ক্ষণ সময় কাটানো হল না! দিদির বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার জন্য পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পরেই পরোটা গ্রাম থেকে মিরাটির দিকে রওনা দিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। অন্নপূর্ণাদেবী বলেন, “শরীর খারাপ। পল্টুর সঙ্গে বেশি ক্ষণ থাকতে পারিনি। তবে ও চা জল খেয়েছে। পরে আনন্দ নাড়ুও খেয়ে যাবে।”
এ দিকে সব কাজ ফেলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ফুটবল মাঠই গন্তব্য হয়ে উঠেছিল ময়ূরেশ্বরের নবগ্রামের কেশব ভাণ্ডারী, তিলডাঙার সুনীল পাল, কীর্ণাহারের মেরি বিবি, স্কুল পড়ুয়া মেঘনাদ ঘোষ ও বিব্রত ঘোষদের। সেখানেই তো হেলিকপ্টার থেকে নামবেন রাষ্ট্রপতি! চোখের সামনে মাটিতে কপ্টার নামতে দেখে আনন্দ ধরে না স্কুলপড়ুয়া টুসি দাস, বাসন্তী দাস-রা। বলে, “স্কুলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যাঁর নাম পড়ি, তাঁকে চোখের সামনে তাঁকে দেখার সুযোগ কি সহজে ছাড়া যায়।”
কপ্টার থেকে নেমে হাত নাড়লেন জনতার দিকে।
এ দিন বিকেল ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ প্রণববাবুর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট পরে আকাশের এক কোণে প্রথম নজর আসে বায়ুসেনার একটি হেলিকপ্টার। তাতেই আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠলেন উপস্থিত হাজার তিনেক জনতা। সকলেই ভাবলেন ওই বুঝি কপ্টার থেকে প্রণববাবু নেমে আসবেন। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে নামলেন কয়েক জন বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের আধিকারিকেরা। তাঁদের নামিয়েই উড়ে গেল কপ্টার। এর খানিক ক্ষণের মধ্যেই আকাশে চক্কর মারতে দেখা গেল আরও দু’টি কপ্টারকে। একে একে তারাও মাটিতে নেমে এল। কোনটিতে রয়েছেন প্রণববাবু, উৎসাহী জনতার কেউ কেউ তা নিয়েই রীতিমতো বাজিও ধরতে শুরু করেন! শেষে তৃতীয় কপ্টারের থেকে নামতে দেখা গেল প্রণববাবুর স্ত্রী শুভ্রাদেবীকে।
পরে রাষ্ট্রপতি যোগ দিলেন শিবচন্দ্র হাইস্কুলের অনুষ্ঠানে।
এর পরেই কপ্টার থেকে নামলেন কালো কোট-প্যান্ট পরিহিত প্রণব মুখোপাধ্যায়। হাত নাড়লেন জনতার উদ্দেশে। জনতাও তাঁকে সাড়া দিল একই কায়দায়। এর পরেই রাষ্ট্রপতির কনভয় ছুটল দিদির বাড়ির দিকে। সেখানে আধ ঘণ্টা কাটিয়ে পোশাক বদলে ধুতি পাঞ্জাবি পরে ফের গাড়িতে উঠে পড়লেন প্রণববাবু। পৌঁছলেন ছেলেবেলার স্কুলে। স্কুল প্রতিষ্ঠাতা শিবচন্দ্র সরকার এবং বাবার (কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়) মূর্তিতে মাল্যদানের পরে উদ্বোধন করলেন নতুন সংগ্রহশালার। বেশ কিছু ক্ষণ জুড়ে করলেন স্কুলের স্মৃতিচারণ। পরে ফের দিদির বাড়ি হয়ে মিরাটির বাড়িতে ফিরলেন বাঙালি রাষ্ট্রপতি।
—নিজস্ব চিত্র।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.